যশোরে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ তিন ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে শহরতলীর শেখহাটি কাজী ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
রাত ১টার দিকে অভিযান সাময়িক স্থগিত করা হলেও বুধবার দুপুরে ফের তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হয়। এ সময় অস্ত্র, গুলি, বোমা ও মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে তৌফিক ইসলাম, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বোরাখারাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু হেনা রোকন এবং মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউন।
পুলিশের দাবি, ওই ছাত্রাবাসটি সন্ত্রাসী কাজী জুয়েল ও তার সহযোগীদের গোপন আস্তানা ও অস্ত্রভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এ ছাড়াও সেখান থেকে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের সিন্ডিকেট পরিচালনা করা হতো।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানি শেখ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেখহাটি কাজী ছাত্রাবাসে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ থেকে একটি পিতলের শটগান, একটি ওয়ান শুটার গান, পাঁচ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি বোমা, তিনটি চাকু, দুটি রামদা, ৯টি রড, এক বোতল মদ, পাঁচটি খালি মদের বোতল, ১০০ পিস ইয়াবা ও কয়েক পোটলা গাঁজা ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ওই কক্ষ ব্যবহারকারী তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
গোলাম রব্বানী শেখ আরও বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মূল মালিক শেখহাটি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুয়েল কাজী। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে গেছে। আটককৃতদের সঙ্গে তাকেও মামলার আসামি করা হবে।