অর্থনীতি
পাট সংগ্রহে ব্যবসায়ীদের ভয় কাটেনি
তিন শ্রেণির কাঁচা পাট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় গেল অর্থবছরে পাট রফতানিতে ধস নামে। ব্যবসায়ীরাও লোকসানের মুখে পড়েন। তবে রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ভয় কাটেনি খুলনার ব্যবসায়ীদের।
তাদের দাবি, বছরের মাঝামাঝি এসে রফতানি বন্ধের এমন সিদ্ধান্ত নিলে আবারও লোকসান গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাট আইন ১৩ ধারা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি আনকাট, বিটিআর ও বিডব্লিউআর নামের তিন ক্যাটাগরির কাঁচা পাট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার কারণে কাঁচা পাট রফতানি ব্যাপক হারে কমে যায়। গত ২৯ মে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে মন্ত্রণালয়
তবে ব্যবসায়ীরা লোকসানের ভয়ে এবারও পাট সংগ্রহে ভয় পাচ্ছেন। সূত্রটি জানায়, এর আগে পণ্যে পাটের মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর এক মাসের জন্য সব ধরনের কাঁচা পাট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার। এক মাস পর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে আবার পাট রফতানির পথ তৈরি হয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, পাটকাঠি থেকে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পর রোদে শুকিয়ে সরাসরি যে পাট পাওয়া যায় তাকে বলা হয় আনকাট। তাতে ভালো-মন্দ সব অংশই থাকে। তোষা জাতের পাটের খারাপ অংশটুকুকে বলে বিটিআর। আর সাদা জাতের পাটের খারাপ অংশকে বিডব্লিউআর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
উত্তরা পাট সংস্থার মণ্ডল অ্যান্ড কোং-এর ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। পাট সংগ্রহ এখনও শুরু করিনি। সরকার যখন-তখন পাট রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে-শুনে তবেই পাট কিনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী বলেন, দেশীয় বাজারের চাহিদা তুলে সরকার পাট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। হঠাৎ করেই নিষেধাজ্ঞা আরোপে চাষী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। তবে সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ব্যবসায়ীরা হিসাব কষেই সামনে পা ফেলবেন বলে তিনি দাবি করেন।