খুলে দেয়া হলো জয়দেবপুর নরসিংদী ও ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন
করোনার কারণে সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনসহ জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশন খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ তিন স্টেশনে সব আন্তঃনগর, কমিউটার, মেইল ট্রেন যাত্রাবিরতি দিয়ে যাত্রী নেওয়া শুরু হয়েছে।
এখন থেকে নিয়মিতভাবে এসব স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া হবে। এসব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে।
রেল কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দর স্টেশনে বেলা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাতটি ট্রেন যাত্রাবিরতি দিয়েছে এবং যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে গেছে।
এতদিন ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মের মানোন্নয়ন ও একসেস কন্ট্রোল সিস্টেম এবং জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশনেরও একসেস কন্ট্রোল সিস্টেম নির্মাণ কাজ চলছিল। একসেস কন্ট্রোলের ফলে স্টেশনে কোনো যাত্রী আর টিকিট ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না।
স্টেশন চালু হওয়ার ফলে ওই সব স্টেশনের সংশ্লিষ্ট ট্রেনের সমন্বয়করা কোটার টিকিট বিমানবন্দর-জয়দেবপুর-নরসিংদী স্টেশনের কোটা হতে বিক্রি করতে হবে।
এদিকে ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন করে বিভিন্ন রুটে ১৪ জোড়া বা ২৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয়েছে বলে জানালেন কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার।
ট্রেনগুলো হলো- চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, আখাউড়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-আখাউড়া রুটে তিতাস কমিউটার, ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে তুরাগ কমিউটার, ঢাকা-হাইটেকসিটি-ঢাকা রুটে কালিয়াকৈর কমিউটার, নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে লোকাল ট্রেন।
জানা গেছে, কমিউটার-মেইল-লোকাল ট্রেনের বেশিরভাগ টিকিট কাউন্টারে দেওয়া হচ্ছে। তবে আন্তঃনগর ট্রেনের ২৫ শতাংশ টিকিট ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্টেশনের কাউন্টারগুলোতে দেওয়া হবে।
যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।