খাওয়ার পর যে ভুলগুলো আমরা করি
তিনবেলা খাওয়া পর আমরা আসলে কী করি তা নিজেরাই জানি না। খাওয়ার পর ঠিক কী করা উচিত তাও আমরা জানি না। খাওয়ার পর যে ভুলগুলো আমরা অজান্তেই করে ফেলি সেগুলো পাল্টাতে না পারলে বিপদ আছে।
জেনে নিন খাওয়ার পর কোন ভুলগুলো আপনি দিনের পর দিন করে যাচ্ছেন-
১. খাওয়ার পরই সুখটান: খেয়ে উঠে ধূমপান না করলে চলে? যদি না চলে, তবে এ বার চালান। খাওয়ার পর একটি সিগারেট আপনার শরীরে ১০টি সিগারেটের সমান ক্ষতি করে। কারণ খাদ্যগ্রহণের পর শরীর জুড়ে পাচনক্রিয়া শুরু হয়। সে সময়ে সিগারেটর সঙ্গে ক্ষতিকারক নিকোটিন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে নিমেষে।
২. ভরা পেটে ফল: পুরনো প্রবাদ— খালি পেটে জল, ভরা পেটে ফল। কথাটি ঠিক। তবে মানেটা একটু বুঝতে হবে। খাওয়ার পরই এক কাঁড়ি ফল নিয়ে বসলে মুশকিল। ফল খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়। কিন্তু খাওয়ার পর খেলে সেই ফলই দীর্ঘ ক্ষণ পেটে থেকে যায়। তা নষ্ট হয়ে গ্যাস ও ক্ষতিকারক টক্সিন ছাড়ে। তাই ফল খান, তবে খাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দু’য়েক পর।
৩. খেয়ে উঠে চা: খেয়ে উঠে চায়ের কাপে আমেজের চুমুক, এই অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন এখুনি। চায়ে ক্যাফেইন থাকে, যা শরীরে হজম প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। অ্যানিমিয়া রোগীদের পক্ষে এটা মারাত্মক। খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা না হলে চায়ে চুমুক দেওয়ার কথা ভাববেন না।
৪. গোসল করা/সাঁতার কাটা: খাওয়ার পর গোসল করা বা সাঁতার কাটা ভীষণ খারাপ অভ্যাস। খাওয়ার পর শরীরে সমস্ত রক্ত পাকস্থলীমুখি হয়। কিন্তু গোসল করলে বা সাঁতার কাটলে শরীরে তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন হয়। ফলে রক্ত আবার শরীরের সব অংশে পৌঁছাতে চেষ্টা করে। ফলে হজমশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ দিন এই অভ্যাস থাকলে হজমশক্তি নষ্ট হয়েও যেতে পারে।
৫. কোমর দোলানো: খেয়ে উঠেই অনেকে কোমরের ব্যায়াম শুরু করেন। ভাবেন, এতে মেদ জমতে পারে না। ভাবনা বদলান। খাওয়ার পর কোমরের ব্যায়ামে ওজন বাড়বে বৈ কমবে না। উপরন্তু এতে আপনার বৃহদান্ত্র বেড়ে যেতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে হজমশক্তি নিজেই হজম হয়ে যাবে।
৬. কসরত বন্ধ: আফটার ডিনার ওয়াক আ মাইল। হাঁটুন তবে দৌঁড়োবেন না। খাওয়ার পর হনহন করে হাঁটলে খাদ্যগুণ শরীরে ঢোকার আগেই বেরিয়ে যাবে। ফলে এখানে শম্ভুক গতি আপনার উপকারে লাগবে।
৭. ঘুমের দেশে যান একটু পরে: খাওয়ার পরই একটা লম্বা হাই। তার পরই বিছানা আদর করে কাছে ডাকছে। আর আপনিও গিয়ে তার কোলে আশ্রয় নিলেন। এমন অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। ঘুমনো তো দূরে থাক, খেয়ে উঠে শোয়াও খুব খারাপ। না হলে ভবিষ্যতে পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।