বিনোদন

যা ভালো লাগে, তাই করি: মোশাররফ করিম

‘হোসেন ভাইয়ের দোকানে আসা মানুষজন’ ধারাবাহিকের কাহিনী গড়ে উঠেছে মফস্বল শহরের পাড়ার মোড়ে গড়ে ওঠা একটি দোকানকে কেন্দ্র করে। এ ধরনের গল্পে আগে কখনও কাজ করার সুযোগ হয়েছিল?

নাটকের চরিত্রগুলোয় চেনাজানা অন্যরকম মানুষের ছায়া থাকলেও গল্পটা ভিন্ন ধরনের। এ ধরনের গল্পে আগে অভিনয় করিনি। এখনকার অন্যান্য নাটকের সঙ্গে এর গল্পের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্মাতা এবং আমরা যারা শিল্পী তাদেরও চাওয়া থাকে প্রতিবার নতুন কিছু করে দেখানোর। কিন্তু এখন গৎবাঁধা গল্পের নাটক বেশি হচ্ছে বলে অভিনয়ে নিজেকে ভাঙার সুযোগ কম। তবে এ নাটকে নিজেকে ভিন্নরূপে তুলে ধরতে পেরেছি। আশরাফুল চঞ্চলের লেখা আমার পছন্দের। চরিত্রনির্ভর নাটকটিতে অভিনয় করে নিজেও তৃপ্তি পেয়েছি।

নাটকে আপনার চরিত্রটি কী রকম?

প্রয়োজনের চেয়ে চারগুণ বেশি কথা বলা আধ-পাগলা টাইপের এক মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছি। উপজেলা রোডের পাশে ‘দি স্টুডেন্ট কোচিং সেন্টার’-এর মহাপরিচালক সে। ছাত্র সংখ্যা তিনজন। ‘কোচিং সেন্টার’ ব্যবসা আগের মতো আর নেই। এখন ‘এনজিও’র যুগ। একটা ‘এনজিও’ খুলে সে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার কনভিন্সিং পাওয়ার, মুখটা চালাতে হয়। মোজাহারুল ইসলাম সেটা ভালোই জানেন। তাই তিনি যখন কথা বলা শুরু করেন, অন্যরা চুপ করে শোনেন। না শুনে উপায় কী? অন্যরা তো সুযোগই পান না। শুধু বউয়ের সামনে এই লোকটির জারিজুরি চলে না [হাসি]

সম্প্রতি পারিবারিক গল্প নিয়ে একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এতে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল কেমন?

হ্যাঁ, ‘সুতোয় বাঁধা সুখের পায়রা’ নামে একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি। রুনীল রহমানের রচনা ও পরিচালনায় গল্পটিও অসাধারণ। আজকাল পারিবারিক গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ কমে গেছে। এখনকার নাটকে চরিত্রও কম থাকে। এমন একটা সময়ে বেশ বড় ক্যানভাসেই নাটকটি নির্মিত হচ্ছে। মাত্র দু’দিন শুটিং করেছি। সবমিলিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।

একসঙ্গে অনেক নাটক ও টেলিফিল্মে কাজ করছেন। এত কাজের মাঝে অভিনয়ে ভিন্নতা তুলে ধরার কতটুকু সুযোগ পান?

নাটক কিংবা টেলিফিল্মে কাজ শুরু করার আগে প্রথমেই আমি স্ক্রিপ্ট নিয়ে বেশি ভাবি। ভালো গল্পের নাটক না হলে সে কাজে হাতই দিই না। চ্যালেঞ্জিং চরিত্রই আমাকে টানে। সবসময় বাছবিচার করে অভিনয় করি। তারপরও কাজের সংখ্যা মাঝে মাঝে বেড়ে যায়। আমার কাছে সংখ্যা কখনই মুখ্য নয়। ভালো কাজ কয়টি, সেটাই দেখার বিষয়।

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে কখনও কি ভেবেছেন?

আমি কখনও ভাবিনি যে, মানুষের এত ভালোবাসা পাব। অভিনয় আমাকে অনেক দিয়েছে। তাই যতদিন সক্ষম আছি, অভিনয় করে যেতে চাই। আমার যা ভালো লাগে, তাই করি। যখন কোনো ভালো লাগা থেকে কিছু করা হয়, তখন আর কোনো কষ্ট লাগে না। তবে একজন অভিনেতা হিসেবে আমার মধ্যে অসাধারণ কিছু ভালো চরিত্রে অভিনয় করার ক্ষুধা আছে। এই অপ্রাপ্তি বা অতৃপ্তিতে প্রায়ই ভুগি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button