স্বাস্থ্য

গুণের শেষ নেই সরিষার তেলের

অনলাইন ডেস্ক

সরিষা তেলের বহু গুণ রয়েছে। রান্নার তেল হিসেবে যেমন উপকারী, তেমনি রূপচর্চায়ও সরিষা তেল ব্যবহার করা যায় নানাভাবে। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সরিষা তেলে থাকে অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান। এর মধ্যে আছে প্রোটিন, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ওমেগা ফ্যাটি এসিড এবং পরিমাণমতো ভিটামিন-এ।

ত্বকে ব্রণ কিংবা সানট্যান হলে সরিষা তেল ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে। অল্প পরিমাণে সরিষা তেল হাতে নিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন আপনার ট্যানপড়া ত্বকে। তারপর তুলো পানিতে ভিজিয়ে আস্তে আস্তে মুছে নিন। কিছুদিনের মধ্যেই চোখে পড়ার মতো উপকার দেখতে পাবেন। নিয়মিত ব্যবহারে কখনোই সানট্যান হবে না।

মুখে কালো দাগ বা ছোপ কিংবা ব্রণ কমে গেলেও দাগ থেকে যায়। এর সমাধান হলো দুই চামচ সরিষা তেল নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ নারকেল তেল মেশান। এর মধ্যে এক চামচ লেবুর রস আর দুই চামচ টকদই দিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে শুধু দাগ যাবে না, সঙ্গে মুখের জেল্লা বাড়বে।

সরিষা তেল আর আদা এই দুটোতেই এমন উপাদান থাকে, যা ত্বকের প্রদাহজনিত ক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। জয়েন্টের ব্যথার হাত থেকে নিরাময় পেতে সরিষা তেলে পরিমাণমতো কর্পূর মেশান। তেলটা গরম করে ঠাণ্ডা হতে দিন।

এবার সেই তেল দিয়ে মালিশ করুন। আরাম পাবেন। সরিষা তেল আমাদের শরীরের রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, যে দিকে নজর রাখে। ক্লান্তি দূর করে পেশি উজ্জীবিত এবং সবল রাখতে সরিষা তেল ভূমিকা রাখে।

একই সঙ্গে এই তেল শুধু আমাদের কোলেস্টেরল কমায় না, সঙ্গে লোহিত রক্তকণিকার গঠনে ভূমিকা রাখে। সরিষা তেল ঠান্ডা লাগার কষ্ট থেকে বাঁচায়। দুই হাতে তেল নিয়ে ভালো করে বুকে ম্যাসাজ করুন। আরাম পাবেন। সঙ্গে বুকের জমা কফ বেরোতে বা কমতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে বন্ধ নাক খোলার জন্য এক বাটি পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা সরিষা তেল ফেলুন। এবার পানি একটু গরম করে তার ভাপ নিন। দেখবেন বন্ধ নাক খুলে গেছে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সরিষা তেল বুকে বা পায়ের তলায় মালিশ খুবই কার্যকর।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button