ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারা বছরই কাজ করতে হবে- অধ্যাপক কবিরুল বাশার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। মশা বিষয়ে গবেষণা করে জাপানের কানাজোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন তিনি।
বর্তমানে দেশে ভয়াবহ রূপ নেয়া এডিস মশা নিয়েও কাজ করছেন এই অধ্যাপক। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়া এবং পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এই মুহূর্তে করণীয় কী জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য এডিস মশা সবসময়ই উপযুক্ত। এর প্রভাব বারো মাসই থাকবে। কিন্তু জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর প্রভাব একটু বেশি থাকে। ভয়াবহ রূপ নেয়। এই তিনমাস যেভাবে ডেঙ্গু বা এডিস মশা প্রতিরোধ করতে সংশ্লিষ্টরা কাজ করে, বছরের বাকি মাসগুলোতে এভাবে আর কাজ করে না। ফলে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না। সারা বছরই ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।
এডিস নিয়ন্ত্রণে চারটি টুলস লাগবে। পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, জৈবিক ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ। যেমন ওষুধ দেয়া। ওষুধ দিতে হয় দুটি স্থানে, পানিতে ও উড়ন্ত মশা মারতে। পানিতে বাচ্চা জন্মে, প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে তারা বাতাসে ওড়ে। এডিস নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সম্পৃক্ত করা জরুরি। এই চারটির মধ্যে সিটি করপোরেশন করে তৃতীয়টি। বাকিটাতে বাজেটে থাকে না।
এবার অবশ্য তারা জনগণকে যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তারা যেভাবে চাইছে, সেভাবে হয়নি। বছরব্যাপী পরিকল্পনা লাগবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে গবেষণা ও মূল্যায়ন টিম করে এডিস জরিপের ফলাফল মনিটর করতে হবে। তারা এডিসের ঘনত্ব ডেটা সিটি করপোরেশনকে দেবে। তারা সরেজমিনে দেখবে, নিয়ন্ত্রণ হলো কি হলো না। না হলে প্রমাণিত হবে কর্মসূচি বা ওষুধ কোথাও ত্রুটি আছে। তিনি বলেন, কোন সংস্থার ওপর নির্ভর না করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে কাজ করতে হবে।