নিজের অজান্তেই মেরুদণ্ডের ক্ষতি করছেন না তো?

শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড। এর সমস্যা হলে একজন মানুষ পঙ্গু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে মেরুদণ্ডজনিত সমস্যা বেড়েই চলেছে। এর জন্য দায়ী দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা, বেশিক্ষণ বসে কাজ করা ইত্যাদি।
মূলত আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্মে কিছু ভুল কিংবা খারাপ অভ্যাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড। কিছু অভ্যাসের কারণে নিজের অজান্তেই আমরা ক্ষতি করছি মেরুদণ্ডের। কী সেই অভ্যাসগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
টানা বসে কাজ করা:-
আপনি কি সারাক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করেন? বিশেষ করে যারা ডেস্ক জব করেন তারা টানা অনেকটা সময় বসে বসে কাজ করেন। এর ফলে শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে। তাই, বসে কাজ করতে হলে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ৫ মিনিটের জন্য হলেও হাঁটাহাঁটি করুন।
বিশ্রামের হেরফের:-
শরীর ঠিক রাখতে নির্দিষ্ট সময় বিশ্রাম নেওয়া উচিত। পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে মেরুদণ্ডের সমস্যা হয়। একইভাবে অতিরিক্ত বিশ্রাম অর্থাৎ আলস্যের কারণেও মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে।
ভারী ব্যাগ বহন করা:-
যারা নিয়মিত পিঠে ভারী ব্যাগ বহন করেন, তাদের মেরুদণ্ডজনিত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই, খুব ভারী ব্যাগ (যেমন- ল্যাপটপ ব্যাগ, বইয়ের ব্যাগ) ইত্যাদি পিঠে কম নেওয়াই ভালো। এতে কাঁধে ও পিঠে অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
ঘুমানোর ভঙ্গি:-
ভুল ভঙ্গিতে ঘুমানোর কারণেও মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকেই অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে কোমর ও পিঠ বাঁকিয়ে ঘুমান। এতে মেরুদণ্ডের ক্ষতি হয়।
ঝুঁকে কাজ করা:-
বিশেষ করে মোবাইলে ফেসবুকিং বা চ্যাটিং করার ক্ষেত্রে অনেকেই ঝুঁকে বসে মোবাইল ব্যবহার করেন। এতে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন একই কাজ করার ফলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। যারা সেলাই বা পাটি বোনার কাজ করেন তারাও মেরুদণ্ডজনিত সমস্যায় পড়তে পারেন।
এসবের পাশাপাশি, হুট করে খুব ভারী কোনো বস্তু তুলতে গেলে মেরুদণ্ডে চোট লাগতে পারে। সমস্যা দেখা দিতে পারে অসম বিছানায় দীর্ঘদিন ঘুমানোর কারণেও।
ছোটখাটো এই অভ্যাসগুলো বদলে ফেলুন। নিশ্চিত করুন সুস্থ থাকা।