অর্থনীতি

কৃষিপণ্য পরিবহণে শুক্রবার থেকে চলবে স্পেশাল পার্সেল ট্রেন

কৃষি ও অন্যান্য জরুরি পণ্য পরিবহণে শুক্রবার থেকে চালু হচ্ছে তিন জোড়া স্পেশাল পার্সেল ট্রেন। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ভিন্ন ভিন্ন শিডিউলে এগুলো চলবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে বিভাগ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পার্সেল ট্রেন চালানোর জন্য গত বুধবার সংশ্লিষ্ট সেকশনে এলআর (লাগেজ রেক), এসএলআর (সিটিং কাম লাগেজ ভ্যান) ও ভিকে ( মোটর ভেহিকল) বেশকিছু রেক তৈরি করা হয়েছে। ট্রেনগুলো যাত্রা স্টেশনে পাঠানোর সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন।
ট্রেনগুলোর শিডিউল হলো- চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের ট্রেন ও দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটের ট্রেন দুটি সপ্তাহে সাতদিন, খুলনা-ঢাকা রুটে সপ্তাহে তিনদিন চালানো হবে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি শুক্র, রবি ও মঙ্গলবার এবং ঢাকা থেকে শনি, সোম ও বুধবার চলাচল করবে। খুলনা হতে বৃহস্পতিবার ও ঢাকা হতে শুক্রবার ট্রেনটি চলাচল বন্ধ রাখবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনটির রেক কম্পোজিশন ৭/১৪ (এল ভ্যান ৪টি, ভিকে ২টি ও এসএলআর ১টি)।
অপর দিকে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটের ট্রেনটির কম্পোজিশন ৫/১০ (এল ভ্যান ৪টি ও এসএলআর ১টি)।
এছাড়া খুলনা-ঢাকা রুটের ট্রেনটির রেক কম্পোজিশন হচ্ছে ৬/১২ (এল ভ্যান ৫টি ও এসপিআর ১টি)।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ থাকলেও রেলের পণ্য পরিবহন সেবা চালু রয়েছে। কনটেইনার ট্রেন, গুডস ট্রেন ও জ্বালানিবাহী ট্রেন চলাচল সীমিত থাকলেও রেলওয়ে এখন স্পেশাল পার্সেল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকাগামী ট্রেনগুলো চালানোর জন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেছে। শুক্রবার থেকে ট্রেনগুলো নির্ধারিত গন্তব্যের শিডিউলে চলাচল করবে।”
রেলওয়ের উভয় অঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ের কন্ট্রোল অর্ডার সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি জামালপুর, ময়মনসিংহসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে কৃষিজ, জরুরি ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে তেজগাঁও স্টেশনে এসে থামবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি চিনকিআস্তানা, ফেনী, নাঙলকোট, লাকসাম, কুমিল্লা, বাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া, ভৈরব, নরসিংদীসহ বেশ কয়েকটি কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী জেলা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি (উভয়পথে) নোয়াপাড়া, যশোর, বারো বাজার, কোটচাঁদপুর, সাফদারপুর, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী, মুলাডুলী, লাহিড়ীমোহনপুর, তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রা বিরতির মাধ্যমে পণ্য সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে আসবে।
নাম প্রকাশ না করে রেলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে বিশেষ পার্সেল ট্রেনগুলো চালাতে এরই মধ্যে দফতরাদেশ দেয়া হয়েছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুপাতে ট্রেনের সংখ্যা ও কোচ সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা যোগাযোগ করে বুকিং দিলে সে অনুযায়ী বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে পণ্যগুলো নিয়ে যাওয়া হবে। মূলত কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রেনগুলো চালানো হলেও ব্যবসায়ীরা চাইলে ঢাকা থেকেও প্রারম্ভিক স্টেশনে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রেনগুলো ব্যবহার করতে পারবে বলে জানান তিনি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button