রংপুর বিভাগসারাদেশ

নীলফামারীতে যৌতুকের ৪০ হাজার টাকার জন্য স্বামী ও শ্বশুর মিলে হত্যা করল গৃহবধূ শারমিনকে

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সদর উপজেলায় যৌতুকের বকেয়া ৪০ হাজার টাকা দিতে না পারায় গৃহবধূ শারমিনকে (১৯) হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত প্রধান আসামী গৃহবধূর স্বামী মোমিনুর এবং শ্বশুর লাল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের ওই হত্যা রহস্য সমন্ধে অবগত করেন।
পুলিশ সুপারের দেয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, গত এক বছর পূর্বে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের হাবিল শেখের মেয়ে হাবিবা আক্তার শারমিনের সাথে নীলফামারীর সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের সাদুল্লিপাড়া গ্রামের ওই ছেলের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা যৌতুকের শর্তে বিয়ে হয়। নগদ ৮০ হাজার টাকায় বিয়ে হওয়ার পর থেকেই বাকি ৪০ হাজার টাকার জন্য শারমিনকে চাপ দিতে থাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বাকি টাকা দিতে না পাড়ায় দিন দিন বাড়িতে থাকে তার উপর নির্যাতন। গত ৯ জুন ওই টাকার দাবি করলে গৃহবধূর সাথে ঝগড়া বাধে স্বামী এবং শ্বশুরের। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী এবং শ্বশুর দুইজন মিলে ওই গৃহবধূকে স্টিলের মগ দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে। অবস্থা খারাপ দেখে তারা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে শারমিন বিষপান করেছে বলে প্রচারনা চালিয়ে তাকে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে উত্তরা ইপিজেড এলাকাতে এ্যাম্বুলেন্সেই তিনি মারা যান। মরদেহ রেখে এ্যাম্বুলেন্স থেকে স্বামী মোমিনুর পালিয়ে যায়। এদিকে ঘটিনাটি সন্দেহজনক হওয়াতে পুলিশ সুপাররের নির্দেশে তাৎক্ষনিকভাবে তদন্ত শুরু করে পুলিশের একটি টিম। তদন্ত শেষে ওই টিম মাত্র ১৮ ঘন্টার ব্যবধানে অভিযান চলিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আসামীদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button