রাজনীতি

সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করে সংসদ, বললেন স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এ তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্যাবলি সম্পাদন করে। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। সংসদে সকল আইন প্রণীত হয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ আইন প্রণয়ন করেন এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করে থাকেন। নির্বাহী বিভাগ সংসদের কাছে জবাবদিহি করে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমাণ্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে (সিএসসিএসসি) ডিফেন্স গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে পার্লামেন্ট: রোল, ফাংশান এন্ড পার্লামেন্টারী প্রাক্টিসেস ইন দ্য কনটেক্সট অব পার্লামেন্টারী ডেমোক্রেসি শীর্ষক সেশনে রিসোর্সপার্সন হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের ডিএসসিএসসিতে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই সংগ্রামের ফসল এ সংবিধান। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতিকে তিনি উপহার দিয়েছিলেন এ অনন্য সংবিধান। সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন, যেখানে মৌলিক নীতিগুলো লিপিবদ্ধ থাকে, যা জনগণের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তরের মাধ্যমে সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করে। সংসদে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সরকারের পক্ষে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে থাকেন। সংসদ চলাকালীন প্রতি বুধবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। এছাড়াও ৭১ বিধিতে জনগুরুত্ব সম্পন্ন নোটিসের জবাব প্রদান করেন মন্ত্রীগণ। অন্যদিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সরকারের কাজের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ অনন্য বৈশিষ্ট্যময়। এ সংসদের সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলের নেতা এবং স্পিকার—সকলেই নারী। একাদশ জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে ২৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৫০জন সংসদ সদস্যসহ সহমোট ৭৩ জন মহিলা সংসদ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ’ উল্লেখ করে স্পীকার বলেন, জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে ও নিশ্চয়তা দেয় সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ- এ চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে, যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।

পরে তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির আলোকে জবাব দেন। এ সময় ডিএসসিএসসি কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল এনায়েত উল্লাহ, ডিফেন্স সার্ভিস কোর্সে ২৩৫ জন অংশগ্রহণকারী, বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক এবং ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button