জাতীয়

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠছে মধ্যরাতে

২২ দিন পর বুধবার মধ্যরাত (১২টার পর) থেকে উঠছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ৫ হাজার ২২৪ জেলেকে জেল এবং ৬ হাজার ১৯৩ মামলা হয়েছে বলে মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।

১৯৫০ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস অ্যাক্ট, ১৯৫০) অনুযায়ী প্রতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে একটি নির্দিষ্ট সময় ইলিশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গত বছর এ সময় ছিল ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।

চন্দ্র মাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে এ বছর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে ৪ ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হয়।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেয় মৎস্য অধিদফতর। মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজি ইকবাল আজমকে প্রধান সমন্বয়কারী করে কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। গঠন করা হয় বিভাগীয় কমিটি এবং একটি কন্ট্রোল রুম।

মৎস্য অধিদফতরের সঙ্গে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী কাজি ইকবাল আজম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুধবার মধ্য রাত থেকে ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। আশা করছি এ উদ্যোগ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা অনেক পরিশ্রম করেছে। কোথাও কোথাও তারা আঘাতপ্রাপ্তও হয়েছে।’

ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধের সময়ে আইন অমান্যকারীদের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১০৩ টন ইলিশ। দুই হাজার ৫৭৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান ইকবাল আজম।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button