ইউরোপে বাড়ছে মার্কিন ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা
ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চাহিদা বাড়ছে।বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) এমন খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, নিজেদের নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে ইউরোপের সরকার ও প্রতিরক্ষা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে মার্কিন সরকারের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করছে। পোল্যান্ডের এক সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থাটিকে বলেছেন, তার দেশ জরুরিভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক ‘রিপার ড্রোন’ কিনতে চায়।
এ ছাড়া, পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ সম্ভাব্য রুশ হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মার্কিন অস্ত্র কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বিমানবিধ্বংসী ‘স্টিংগার’ ও ট্যাংকবিধ্বংসী ‘জ্যাভেলিন’ ক্ষেপণাস্ত্র।
ইউরোপের দেশগুলো প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বিশেষ করে, সুইডেন ও ডেনমার্ক তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় ব্যাপকহারে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ৩১ লাখের বেশি মানুষ।
এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৩ হাজার ৮০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৭২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫২ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স