জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু, মোট ২৬

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় মনির ফরাজী (৩০) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাধীন আরও মুসল্লিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনির ফরাজী নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসাধীন বাকী ১১ জন হলেন- ইমরান (৩০), মামুন (২৩), আমজাদ (৩৭), আ. সাত্তার (৪০), হান্নান (৫০), আ. আজিজ (৪০), রিফাত (১৮), নজরুল ইসলাম (৫০), মো. কেনান (২৪), শেখ ফরিদ (২১) ও মো. ফিড (৫৫)। তাদের মধ্যে ফরিদ, কেনান, আজিজ, আমজাদ ও আবুল বাশারকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ছয়টি এসির একটিও বিস্ফোরিত হয়নি। লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাস এবং বিদ্যুতের স্পার্ক থেকে বের হওয়া আগুনেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সময় সংবাদকে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-পরিচালক নূর হাসান আহমেদ।

তিনি বলেন, মসজিদের এসি থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। ছয়টি এসির প্রতিটির ক্যাচিং পুড়েছে কিন্তু ভেতরের সব ঠিক আছে। বিস্ফোরণ হয়েছে গ্যাসের ও বিদ্যুতের স্পার্ক থেকেই।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সিআইডির তদন্ত কমিটির সদস্যও পুলিশ পরিদর্শক জিয়াউদ্দিন উজ্জলও একই কথা বলেছেন।  তিনি বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ছয়টি এসির একটিও বিস্ফোরিত হয়নি, হওয়ার কথাও নয়।

এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস, সিআইডি এবং ডিপিডিসির পক্ষ থেকে আলাদা পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হলো।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button