আন্তর্জাতিক

এবার ফিনল্যান্ড, সুইডেনকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

ইউক্রেন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন। সম্প্রতি এক জনমত জরিপে দেখা যায়, দেশ দুটির জনগণ ন্যাটো সামরিক জোটে অন্তর্ভুক্তি চায়। তবে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার চেষ্টা করলে ইউক্রেনের মতো পরিণতি হবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের রুশ আগ্রাসনের পর থেকে নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে ইউরোপের আরো দুই দেশ। সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড তাদের সামরিক নীতির ভিন্নতার কারণে এতদিন ন্যাটো সামরিক জোটের বাইরে থেকেছে। ফিন এবং সুইডিশ নাগরিকরাও এতে সায় দিয়ে এসেছেন। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধ তাদের মতামত বদলে দিয়েছে।

ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার এক হাজার ৩৪০ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রের চেয়ে এই দেশটির সঙ্গেই সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে রাশিয়ার। ফলে ইউক্রেনের চলমান পরিস্থিতিতে দেশটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে।

নতুন এক জরিপে ন্যাটোর সদস্যপদ চেয়েছে ফিনল্যান্ডের ৫৩ শতাংশ জনগণ। যুদ্ধের আগে মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ ন্যাটোতে যোগ দিতে সায় দিয়েছিলেন।

ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন জানিয়েছেন, সার্বভৌম ইউরোপীয় জাতির বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুইডেন আমাদের পাশে আছে।

তিনি আরো বলেন, সরাসরি হুমকির মুখে না থাকলেও, এটা পরিষ্কার যে আমাদের নিজেদের অঞ্চলের নিরাপত্তাকে একসাথে মূল্যায়ন করতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। আর তাই ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন সম্প্রতি ন্যাটোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে সুইডেনে সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা যায় দেশটির ৪১ শতাংশ জনসাধারণ ন্যাটো সদস্য পদের পক্ষে ভোট করেছেন। ৩৫ শতাংশ বিপক্ষে ছিলেন।

প্রথমবারের মতো, যারা জরিপ করেছেন তাদের বেশির ভাগই সদস্য হওয়ার পক্ষে ছিল। এছাড়াও সুইডেনের একটি জনপ্রিয় পত্রিকার নতুন জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সুইডিশ এখন ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়।

অন্যদিকে মস্কো বলেছে, ন্যাটোয় যোগ দেয়ার চেষ্টা করলে এই দুই দেশেরও ভয়ংকর পরিণতি ভোগ করতে হবে। ইউক্রেন অভিযানের দ্বিতীয় দিন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, ন্যাটো একটি সামরিক জোট, দেশ দুটি ন্যাটোতে যোগ দিলে রাশিয়া নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে। ফলে গুরুতর সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যার জেরে তার দেশকে ‘বাধ্য হয়েই’ পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে প্রতিবেশী রাশিয়ার হুমকির মুখে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা পাঠাচ্ছে দেশ দুটি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button