নীলফামারীতে টাকা ছাড়া মিলছে না ইউপি কেন্দ্রের তথ্যসেবা
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহনকারীদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। উদ্যোক্তাদের এমন অনৈতিক কর্মকান্ড জনগনের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দেয়ার উদ্যোগকে পরিকল্পিতভাবে নস্যাৎ করে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এমনই অভিযোগ সদর উপজেলার ১১ নং সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা ছাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে
লিখিত তথ্য মতে, সরকারী নিয়ম উপেক্ষা করে সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা ছাদেকুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছেমতো জন্মনিবন্ধন কার্ড প্রদান করে। জন্মনিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে দেয়ার ফলে বাল্যবিয়ের ঘটনা বেশি ঘটেছে ওই ইউনিয়নে। জন্মনিবন্ধনের কার্ড ছাড়াও ভোটার তথ্য কপি, প্রত্যয়ণপত্র, মৃত্যু সনদপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি প্রদানে নানা অজুহাতে তালবাহানায় সময়ক্ষেপন করে ওই উদ্যোক্তা। ফলে এসব সনদ যাদের জরুরী প্রয়োজন তারা নিরুপায় হয়ে উদ্যোক্তা ছাদেকুলের হাতে গুঁজে দেয় টাকা। ভুক্তভোগিদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সাদেকুল, নেছারুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন, পিজুস রায়, মজিবর রহমান, জিকরুল হকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, জন্মনিবন্ধনের কার্ডের বাবদ ৫শত থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে ওই উদ্যোক্তা।
অভিযোগকারী জবেদুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। দীর্ঘ সাত মাসেও এর বিচার পাইনি।
কথা হয় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সাথে। তিনি জানান, উদ্যোক্তা ছাদেকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে প্রেরণ করেছি।
এছাড়া খোজ নিয়ে নীলফামারীর সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর, জলঢাকার শৈলমারি, ডিমলার বালাপাড়া,নাউতারা,সৈয়দপুরের কামারপুকুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে একইরকম: অভিযোগ পাওয়া গেছে সেবাগ্রহনকারীদের কাছে।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে কথা হয়। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই ওই উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।