কলকাতায় আগুনে ছাই ১১ ঘর, বাংলাদেশি নারী নিহতের খবর

ভারতের কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউসে আজ ভোরবেলা অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুনে ঝলসে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশির মৃত্যুর বিষয়টি যাচাই করা যায়নি।
ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো দু’জন।
দমকল বাহিনীর তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে সেখানকার দমকল বাহিনী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফ্রি স্ট্রিট স্কুল এলাকায়।
জানা গেছে, আজ শনিবার ভোরে আগুন দেখা যায় ৫ নম্বর মির্জা গালিব স্ট্রিটের (ফ্রি স্কুল স্ট্রিট) একটি গেস্ট হাউসে। গেস্ট হাউসের দোতলা থেকে দ্রুত এই আগুন ছড়িয়ে যায় আশেপাশে।
গেস্ট হাউসের একজন কর্মী জানান, রিসেপশনে প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে যায় অন্য ঘরগুলোতে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। একে একে অন্তত ১০ থেকে ১২টি ঘর পুড়ে যায়। ওই ঘরগুলিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তাঁদের সবাইকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ জনকে।
ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। কিন্তু একজন বৃদ্ধাকে প্রথমে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ৬০ বছরের ওই বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর নাম সামিমাতুল আরস। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। ৩৫ বছর বয়সী মইনূল হক নামে আরেক বাংলাদেশি নাগরিককে অসুস্থ অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও মাহাতাব আলম নামে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দমকলের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্র: আনন্দবাজার।