খুলনা বিভাগসারাদেশ

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে চার বছরের বেশি সময় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে মায়ের সিজারিয়ান বন্ধ

মাগুরাপ্রতিনিধিঃ   মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে চার বছরের বেশি সময় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে  মায়ের জরুরী অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান) বন্ধ  রয়েছে। উপজেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে এখন ১৫ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। এরমধ্যে একজন ঢাকায় আরেকজন মাগুরা কারাগারে ডেপুটেশনে কর্মরত আছেন। ১২ জন চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও প্রসূতি মায়েরা জরুরী অপারেশন (ইউওসি) সেবা পাচ্ছেন না।
সরকারি সেবাটি বন্ধ থাকায় বেসরকারি ক্লিনিকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান) করাচ্ছেন। দরিদ্রদের পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। তাঁরা বাধ্য হয়ে বাড়িতে বাচ্চা প্রসব করাতে গিয়ে নানা জটিলতার শিকার হচ্ছেন, এমনকি মত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
আধুনিক যন্ত্রপাতি ও শয্যা থাকলেও শুধু চিকিৎসকরে অভাবে প্রসূতি অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান অপারেশন) বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব যন্ত্রপাতি পড়ে আছে। অস্ত্রোপচারকক্ষের যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ায় তা ধুলাবালিতে একাকার।
অথচ হাসপাতালে সামনে টাঙানো সিটিজেন র্চাটারে  অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সেবা, স্বাভাবিক প্রসবসেবা, জটিল প্রসবসেবা, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব, গর্ভোত্তরসেবা, মাসিক নিয়মিতকরণ, গর্ভপাতজনিত সেবা, নবজাতকের সেবা, প্রজননতন্ত্র ও যৌনবাহিত রোগের সেবা ছাড়াও সব ধরনের সাধারণ চিকিৎসাসেবা  দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য স্থাপন করা ১০টি শয্যাও পড়ে আছে।
কয়েকজন রোগী বলেন, পরিবার-পরিকল্পনা ও সাধারণ প্রসূতিসেবা ছাড়া প্রসবজনিত জটিলতার সেবা এখানে মিলছে না। প্রসূতি মায়েরা মহম্মদপুরের ক্লিনিকে আর যাদের টাকা আছে তাঁরা বাইরে চলে যাচ্ছেন। গরীব মায়েরা বাড়িতে অদক্ষ দাই দিয়ে প্রসব করাতে গিয়ে নানা বিপদে পড়ছেন।’
সংশ্লিষ্ট র্কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসকের গাইনি কনসালটেন্ট, অবেদনবিদ (এনেসথেসিয়া) ও সার্জনের পদ শূন্য থাকায় প্রসূতি অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান অপারেশন) বন্ধ রয়েছে। তাঁরা  বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button