পশ্চিমা পোশাকের প্রতি সউদী নারীদের আসক্তি বাড়ছে
রক্ষণশীল দেশ সউদি আরবের নারীরা অনেক বিধি-নিষেধের মধ্যে থাকেন। অল্প কিছুদিন হলো সে দেশের নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছে, অনুমতি পেয়েছে ব্যবসা করারও। তবে এসব অনুমতি দেওয়া হলেও পোশাকে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। বাড়ি থেকে বের হলেই তাদের বোরকা পরতে হয়। এমন নিয়ম-নীতির দেশেই এবার এক সউদি নারী পশ্চিমা পোশাকে শপিং মলসহ নানা ‘পাবলিক প্লেসে’ গিয়ে দুঃসাহসের পরিচয় দিয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেট্রো.কো.ইউকে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সউদীর এ ‘দুঃসাহসী’ নারীর নাম মশিল আল জালোদ। কোনো সংকোচ ছাড়াই তিনি সউদির রাজধানী রিয়াদের একটি শপিং মলে পশ্চিমা পোশাকে ঘুরে বেড়ান।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ৩৩ বছর বয়সী এ নারী রিয়াদে পশ্চিমা পোশাকে ঘুরে বেড়ালে সম্প্রতি তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসে। মশিল আল জালোদ সেদিন কমলা রঙের ব্লেজার পরেছিলেন। ব্লেজারের সঙ্গে সাদা টি-শার্টও নজরে এসেছে সবার।
বোরখার আড়ালে সউদি নারীদের চুল দেখা যেখানে অসম্ভব, সেখানে তিনি খোলা চুলে রিয়াদের রাস্তায় ও শপিং মলে ঘুরে বেড়ালেন। বোরকার জায়গায় তার এ পশ্চিমা পোশাক সউদি আরবের সামাজিক বাস্তবতায় দুঃসাহসিক না বলে উপায় নেই।
পেশায় মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা জালোদ নারী স্বাধীনতা নিয়ে নিজের মতো করে আন্দোলনে নেমেছেন। হিজাব, বোরকা ছেড়ে শার্ট, ট্রাউজার পরেই এখন তিনি চলাফেরা করেন, অফিসেও যাচ্ছেন।
জালোদের এমন পশ্চিমা পোশাক পরা দেখে সউদির অনেক নারীই উৎসাহিত হচ্ছেন। পোশাকের বাইরে এখন সৌদি নারীদের রূপচর্চাতেও পরিবর্তন এসেছে। বাড়ির বাইরে পার্লারে গিয়ে তারা নিজেদের চেহারার যত্ন নিচ্ছেন, যা একসময় ভাবাই যেত না। সউদি আরব সরকারও ইদানীং নারীদের বিষয়ে তাদের নীতি কোমল করছে। সউদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও নারীদের স্বাধীনতা দানে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। সউদি নারীদের জন্য হিজাব, বোরকা আর বাধ্যতামূলক রাখা হবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সৌদি প্রিন্স।