আন্তর্জাতিক

বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস মহাকাশে যাবেন মঙ্গলবার

বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস আগামীকাল মঙ্গলবার মর্ত্য থেকে মহাকাশে যাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বেজোস নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের একটি নতুন শেপার্ড রকেটে চড়ে মহাকাশে উড়বেন। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম টেক্সাস থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় মহাকাশের উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে রকেটটি। এই ফ্লাইটে তথা উড্ডয়নে মোট সময় নেবে ১১ মিনিট।

যুক্তরাজ্যের লেখক, বহুজাতিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের ৫৭৯তম ধনী স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনের ১০ দিন পর বেজোস মহাকাশে যাচ্ছেন। তিনিই বিশ্বে প্রথমবারের মতো নিজস্ব মহাশূন্যযান ভার্জিন গ্যালাকটিক প্লেনে চড়ে ১০ জুলাই মহাশূন্যে যান।

মানুষের চন্দ্র জয়ের ৫২তম বার্ষিকীতে জেফ বেজোস মহাকাশে যাচ্ছেন। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ মহাকাশযানে চড়ে চন্দ্রাভিযানে অংশ নেন নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও বাজ অলড্রিন। তখন বেজোস ছিলেন মাত্র পাঁচ বছরের এক শিশু।

মহাকাশ অভিযানে বেজোসের সঙ্গে থাকবেন তাঁর ছোট ভাই মার্ক এবং বিশ্বের প্রথম দিককার বিমানচালক ৮২ বছরের ম্যারি ওয়ালেচ (ওয়্যালি ফাঙ্ক নামে সমধিক পরিচিত) এবং একটি প্রাইভেট ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সিইওর ১৮ বছরের ছেলে ওলিভার ড্যামেন।

এ ছাড়া রয়েছেন এই অভিযাত্রার টিকিটের ওপর আয়োজিত নিলামে ২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার হাঁকিয়ে রানারআপ হওয়া ব্যক্তিদের একজন। নিলামে বিজয়ী ব্যক্তি পরে কোনো সময় মহাকাশে যাবেন। আপাতত তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। এই অভিযাত্রার একটি বিশেষত্ব হলো, এতে রয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি (বেজোস), সবচেয়ে কম বয়সী অভিযাত্রী (ড্যামেন) ও সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ (ফাঙ্ক)।

এই অভিযাত্রা সম্পর্কে বেজোস ইনস্টাগামে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি সারা জীবন মহাকাশে এভাবে উড়তে চেয়েছি। এটি একটি দুঃসাহসিক কাজ এবং আমার জন্য অনেক বড় কিছু।’

সারা দুনিয়া যখন করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিশ্বের এই দুজন অতিধনী শত শত কোটি ডলার ব্যয় করে মহাকাশে যাওয়ার শখ পূরণ করছেন। এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কও মহাকাশ পর্যটন তথা ভ্রমণ আয়োজনের ব্যবসায় নেমেছেন। তাঁর কোম্পানির নাম স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস করপোরেশন, যা স্পেস এক্স নামেই সমধিক পরিচিত। বেজোস ও ব্র্যানসনের চেয়েও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন মাস্ক। তিনি মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাতে চান।

মহাকাশযাত্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৩ দশমিক ৫ মাইল ওপরে উঠেছিল রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিকের রকেট। তবে জেফ বেজোসকে নিয়ে ১০০ কিলোমিটার বা ৬২ মাইল ওপরে উড়বে ব্লু অরিজিনের নিউ শেপার্ড রকেট। বেজোসের রকেট ভার্টিক্যালি বা উল্লম্বভাবে মহাকাশ পানে ছুটে যাবে। অন্যদিকে ব্র্যানসনের রকেট সাধারণ বিমানের মতো সমান্তরাল অবস্থায় শূন্যে ওড়ে যায়। এদিকে মহাকাশের উদ্দেশে ওড়ার পর বেজোসকে আর পৃথিবীতে ফিরতে না দেওয়ার দাবিতে এক লাখ মানুষ একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, নিউজ ডট ইয়াহু।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button