রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

ধামইরহাটে মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ন ও সেবনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে সেবনকারীদের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত চিহ্নিত মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা খুবই জরুরী। স্থানীয়দের সূত্রে আরো জানা গেছে, ধামইরহাট সদরসহ সীমান্তের গ্রাম গুলোতে বাড়ছে মাদকের আধিপত্য। কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না মাদকের বিচরন। হাতে গোনা চিহ্নিত কয়েক জন মাদক ব্যবসায়ী এলাকায় দাপটের সাথে মাদক দ্রব্য যেমন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হিরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। এদের অদৃশ্য শক্তি কোথায় তা নিয়ে ঋতিমতো চিন্তিত সুধি মহল। এ এলাকায় মাদকের বিস্তার এতো দুর পৌচেছে যে হাত বাড়ালেই সহজে মিলছে ওই সব নেশার পণ্য ফলে নতুন নতুন মাদক সেবী প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে কমলমতী স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, উড়তি বয়সের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার যুবক ও যুবতী। অত্রাঞ্চলের অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় ভুকছেন। অনেক মাদক সেবী সন্তান নেশার টাকা নেয়ার জন্য বাবা-মায়ের সঙ্গে অসৎ আচরনসহ বাড়ির মুল্যবান আসবাবপত্র, সোনা-দানা চুরি করে সমাজের এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তির নিকট কম দামে বিক্রি করছে। আবার অনেক মাদক ব্যবসায়ী সেবনকারীদের কাছ থেকে চুরি করা ওই সমস্ত মুল্যবান জিনিস-পত্রের বদলে মাদকদ্রব্য দিয়ে অন্য জনের কাছে বেশী দামে বিক্রি করে নকফুলে কলা গাছ হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মাদক সেবীদের পরিবার। ফলে ওই সমস্ত পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকে। অনেকেই আবার মাদক কেনার টাকা যোগাড় করতে চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ায় এলাকায় নানাবিধ অপরাধ প্রবনতারহার বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আটক হলেও আইনের ফাঁক দিয়ে জেল/হাজত থেকে বের হয়ে এসে পুনুরায় সেই পেশায় লিপ্ত হচ্ছে। তাই অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত মাদকদ্রব্য আইন আরো কঠোর থেকে কঠোরতম হওয়া দরকার। যাতে করে আসল মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড় না পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এলাকার তরুণ সমাজ ধ্বংশের শেষ প্রান্তে পৌঁছাবে। এমন অবস্থায় সামাজিক অবক্ষয় রোধে অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। তাই সঠিক আইন প্রয়োগ করে যুব সমাজ তথা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত রক্ষা করা এখনি দরকার বলে অভিজ্ঞরা মত পোষন করছেন। এ ব্যাপারে ১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল নাদিম আরেফিন সুমন, পিএসসি, জি জানান, মাদকের বিস্তার ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় নেই।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button