আন্তর্জাতিক

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ফেসবুকে ‘হত্যার হুমকি’ ব্রিটিশ এমপিদের

সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) ইস্যুকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বেই ব্যাপক তর্কবিতর্ক ও সমালোচনা চলছে। এ থেকে পিছিয়ে নেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও। সম্প্রতি এ ইস্যুতে ফেসবুকের বেশকিছু গ্রুপে সহিংস কথাবার্তা ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একাধিক সদস্যকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, বিবিসির এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্রেক্সিটের পক্ষে-বিপক্ষে জনপ্রিয় বেশিরভাগ ফেসবুক গ্রুপেই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে সহিংস ভাষা ব্যবহার করে প্রচুর পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু পোস্টে ব্রিটিশ এমপিদের নাম উল্লেখ করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ গ্রুপগুলর মধ্যে পাবলিক ও ক্লোজড দুই ধরনের গ্রুপই রয়েছে। যে কেউ পাবলিক গ্রুপের পোস্ট দেখতে পারলেও, ক্লোজড গ্রুপের পোস্টগুলো কেবলমাত্র সদস্যরাই দেখতে পারে।ফলে এ ধরনের গ্রুপ তুলনামূলক বেশি উদ্বেগজনক।

চলতি বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে এক শুনানিতে এ ধরনের গ্রুপ নিয়েই ফেসবুকের এক মুখপাত্রের কাছে প্রশ্ন তোলেন লেবার পার্টির নেত্রী ইভ্যা কুপার। তিনি জানান, প্রায় ৩০ হাজার সদস্যের একটি ক্লোজড গ্রুপে তাকে ও তার পরিবারকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে বেশ কিছু পোস্ট করা হয়েছে। তার অভিযোগের পর গ্রুপটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

বিবিসিকে কুপার বলেন, এ গ্রুপগুলোর কর্মকাণ্ডে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও আমরা আশাব্যঞ্জক সদুত্তর পাইনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় এ ধরনের সহিংস মন্তব্য আশঙ্কাজনক রূপ নিতে পারে।

বিবিসির অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্রেক্সিট ইস্যুতে ফেসবুক গ্রুপগুলোতে পোস্টদাতা ও মন্তব্যকারীরা বেশিরভাগই ব্রিটেনে বসবাস করেন। ব্রেক্সিটের পক্ষের গ্রুপগুলোতে সহিংস কথাবার্তার পরিমাণ বেশি বলে এতে জানানো হয়।

এদিকে যে কোনো ধরনের বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানোর বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ব্রেক্সিটসংস্লিষ্ট গ্রুপগুলোর ব্যাপারে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।

ফেসবুকের মতে, গত দুই বছরে কেউ অভিযোগ করার আগেই বিভিন্ন হিংসাত্মক ও সহিংস পোস্ট সরিয়ে ফেলার মাত্রা তিনগুণ বাড়িয়েছে ফেসবুক। মাধ্যমটি নিরাপদ রাখতে কাজ করছে নীতি নির্ধারকরা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button