আন্তর্জাতিক

তুরস্কের বিরুদ্ধে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত করছে জাতিসংঘ

সিরিয়া অভিযানে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘের রাসায়নিক অস্ত্র পরিদর্শকেরা। শুক্রবার সকালে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ বিষয়ক সংস্থা ওপিসিডব্লিউ জানিয়েছে, পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর তারা সম্ভাব্য রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তুরস্ক।

কুর্দিস রেড ক্রিসেন্ট-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে হাসাকাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয় ব্যক্তি অজ্ঞাত অস্ত্রে আক্রান্ত হয়েছে। তুরস্ক ও তাদের সমর্থিত বাহিনীগুলোর সঙ্গে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) সংঘাতের সময়ে তারা আক্রান্ত হয়েছে। তারা কোন ধরনের অস্ত্রে আক্রান্ত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ গার্ডিয়ানকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, অভিযানে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বিষাক্ত ফসফরাসের আলামত মিলেছে।

সাদা ফসফরাস বিশ্বের বিভিন্ন সেনাবাহিনীর কাছেই রয়েছে। আর বৈধভাবে তা যুদ্ধের সময়ে রাতের বেলায় কোনও স্থানকে আলোকিত করতে বা দিনের বেলায় সেনা সদস্যদের ধোঁয়ার আড়ালে রাখতে ব্যবহার হয়। তবে বেসামরিক মানুষের ওপর এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। কারণ এটি চামড়ার সংস্পর্শে আসলে মারাত্মক ক্ষত ও তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর গত ৯ অক্টোবর তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে,তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া ২০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে পুনর্বাসনের জন্য সেখানে তারা একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তুলতে চায়। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর পাঁচদিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক।

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কুর্দি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, তুরস্ক এই সংঘাতে রীতিবর্জিত অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের তা তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানায় তারা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তুরস্ক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেছেন, সবাই জানে যে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের তালিকায় কোনও রাসায়নিক অস্ত্র নেই।

সিরিয়ার তুর্কি সীমান্তবর্তী শহর রাস আল আইন-এ এই অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ওপিসিডব্লিউ জানিয়েছে, তারা এখনও এই অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। আর রাসায়নিক অস্ত্র পরিদর্শকেরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button