আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে করোনার মাঝেও বাড়ছে অভিবাসীর সংখ্যা

নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনার মাঝেও দিন দিন বাড়ছে অভিবাসীর সংখ্যা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শিথিল নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়েছে। শুধুমাত্র গত বছরই যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করেছে ১০ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী। যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বংশোদ্ভূত জনসংখ্যার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
গত আদমশুমারির তথ্যানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ-অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা এখন ৪৬ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১০ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজের বিশ্লেষণে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি বংশোদ্ভূত জনসংখ্যা এখন আদমশুমারি দ্বারা গণনা করা দেশের সব লোকের ১৪.২ শতাংশ, যা ১১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ১৮৯০ সালে অভিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ১৪.৮ শতাংশ এবং ১৯১০ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। অভিবাসী বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ডকে অতিক্রম করতে পারে। গত বছরের বেশির ভাগ সময় ধরে ‘বেআইনি অভিবাসন’ শিরোনাম প্রাধান্য পেয়েছিল। কারণ ওই সময় প্রায় দুই মিলিয়ন অভিবাসী মার্কিন সীমান্ত কর্মকর্তাদের জেরার মুখোমুখি হয়েছিল। আরও অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য শনাক্তকরণ এড়িয়ে গেছেন।
বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী আগমনের প্রবাহকে ধীর করার অনেক প্রচেষ্টা ভেঙে দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রচেষ্টা ‘সীমানা প্রাচীর নির্মাণ’ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া এন্ট্রি এবং নির্বাসন উভয় নীতি উঠিয়ে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বংশোদ্ভূতদের নতুন রেকর্ডের একটি চালিকাশক্তি হিসেবে এই পরিবর্তনটিকে তুলে ধরা হয়। ফেডারেল কর্মকর্তারা বলেন, বাইডেনের দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস আগে থেকেই অভিবাসীদের ঢেউ শুরু হয়। সিআইএসের রিপোর্টে বলা হয়, অভিবাসী জনসংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এবং তারপরে প্রতি মাসে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যে বাইডেনের অভিবাসীপন্থী নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২ মার্চ বুধবার অ্যারিজোনার অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ব্রনোভিচ সুপ্রিম কোর্টের সামনে যুক্তি দিতে যাচ্ছেন যে প্রশাসনকে কেবল তাদের জন্য বিশেষ অভিবাসন মর্যাদা দেওয়ার একটি দশকব্যাপী নীতি পুনরায় শুরু করা উচিত, শুধু যাদের দেশে বেঁচে থাকার জন্য কল্যাণ ব্যবহার করতে হবে না। এবং ২০১৬ সালের প্রচারণায় সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ট্রাম্পও বাইডেনের নীতির নিন্দা করেছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button