আন্তর্জাতিক

বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বিক্ষোভের শঙ্কায় ৫০ অঙ্গরাজ্যে সতর্কতা

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ ঘিরে সহিংস বিক্ষোভের শঙ্কায়, ওয়াশিংটন ডিসির পাশাপাশি ৫০টি অঙ্গরাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের।

এদিকে, রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির একটি চেক পয়েন্টে অস্ত্রসহ একজন মার্কিনকে আটক করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, মার্কিন মুলুকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন তাণ্ডবের ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে এবার কোনো ছাড় দিতে নারাজ দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

আগামী বুধবার শপথ অনুষ্ঠানের দিন কট্টর রিপাবলিকান সমর্থকদের সহিংস বিক্ষোভের আভাস দিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ট্রাম্প সমর্থক ও ডানপন্থিদের অনলাইনে ডাক দেয়া ১৭ জানুয়ারির বিক্ষোভে সহিংসতার আশঙ্কায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এ বিক্ষোভটি সশস্ত্র বিক্ষোভ হবে বলে ধারণা করে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতে বলেছে এফবিআই। বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ওয়াশিংটন ডিসির পাশাপাশি ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবকটিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এরই মধ্যে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়কে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

বাইডেনের শপথের দিনও ওয়াশিংটন ডিসি অভিমুখে বিক্ষোভ র‌্যালির ডাক দিয়েছেন ট্রাম্প ভক্তরা।  শপথের দিন শুধু অনুষ্ঠান ঘিরেই ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে, গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী এক সিনেটর ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর আলেক্সাদ্রিয়া ওকাসিও কর্তেজ বলেন, ওই ভবনে থাকা প্রত্যেকেই খুবই আতঙ্কিত ছিল। পালানোর মতো কোন জায়গা ছিল না। ক্যাপিটল কমপ্লেক্সে শিশুরাও ছিল। এ ভয়াবহতা বর্ণনা করে বোঝানো যাবে না।

নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, দাঙ্গা বাধানোর উদ্দেশ্যেই বিক্ষোভকারীরা এমনটা করেছে। তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা। কিন্তু তারপরও তারা নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে সেদিন। দেশের ইতিহাসে সত্যিই এটা ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা।

ক্যাপিটল হিলের ওই হামলার বিষয়ে তদন্ত করছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button