জাতীয়

শারীরিক অবস্থার গাইডলাইন পরিবর্তনে দেশে একদিনেই সুস্থ বাড়ল প্রায় ৯০০ জন

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার সংজ্ঞা পাল্টিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর ফলে একদিনের ব্যবধানের দেশে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার মানুষের সংখ্যা ছয় গুণ বেড়েছে।

আইইডিসিআরের তথ্যমতে, শনিবার পর্যন্ত  সুস্থ রোগীর সংখ্য্যা ছিল ১৭৭ জন। আজ রোববার সেই সংখ্যা ৮৮৬ বেড়ে হয়েছে  ১ হাজার ৬৩ জন।

রোববার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থা পুনরায় কোন পর্যায়ে পৌঁছালে কোনও ব্যক্তিকে সুস্থ বলা যাবে তা নিয়ে একটি নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে। তাদের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি নতুন এই গাইডলাইনটি তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, কাকে সুস্থ বলা যাবে, সেই নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সে হিসেবে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১ হাজার ৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শনিবার পর্যন্ত হাসপাতালে থাকা রোগীদের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল মোট ১৭৭ জন।

এদিকে ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ডা. এম এ ফয়েজের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, আগের গাইডলাইন অনুযায়ী কারও মধ্যে যদি করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হতো তাহলে তার ১৪-২১ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট করা হতো।সেখানে ফলাফল নেগেটিভ আসলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অথবা দুই তিনদিনের মধ্যে আরেকটি টেস্ট করা হতো। সেখানেও ফলাফল নেগেটিভ আসলে রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হতো এবং বলা হতো তারা যেন আরও ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকেন।

এম এ ফায়েজ জানান, নতুন নিয়মে রোগী যদি ক্লিনিক্যালি সুস্থ হয়ে ওঠেন অর্থাৎ পর পর তিনদিন যদি তার আর জ্বর না থাকে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট না হয়, তাহলে তাকে সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতালে না রেখে বাড়িতে ১৪ দিনের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বাড়ি থেকেই তার পরবর্তী দুটো পরীক্ষা করা হবে, যেটা আগে হাসপাতালে থেকে করা লাগতো।

হাসাপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

মৃতের তালিকা পর্যালোচনা করে রোববারের বুলেটিনে ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে; এই দুইজনই ঢাকার বাইরের। একজন রংপুর এবং একজন নারায়ণগঞ্জের। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৬০ বছরের উপরে এবং আরেক জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে নতুন করে ৬৬৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটাই এযাবৎকালের সবোর্চ্চ সংখ্যক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪৫৫ জনে। নতনু করে দুইজনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা ১৭৭ জনে দাঁড়াল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button