স্বাস্থ্য

পরিচিত উপাদানে সারবে গলা ব্যথা

আবহাওয়া বদলে দেখা দিতে পারে গলা ব্যথা। হামাগুড়ি দিয়ে শীতকাল এগিয়ে আসছে, আর আবহাওয়া বদলের পালায় দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের ছোট-বড় শারীরিক সমস্যা। এ সময়ে হুট করে ঠাণ্ডা লেগে যায় এবং যা থেকে দেখা দেয় গলা ব্যথার প্রাদুর্ভাব। এতে করে যেকোন খাবার বা পানীয় গ্রহণেই কষ্ট হয়, ভুগতে হয় বেশ লম্বা সময়ের জন্য।

গলা ব্যথা বেশি হলে ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হয়। তবে গলা ব্যথার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার শুরুতেই পরিচিত কিছু উপাদানের ব্যবহার মুক্তি দিতে পারে কষ্টদায়ক এই সমস্যাটি থেকে।

লবণ পানিতে গার্গল করা:
গলাব্যথার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ও উপকারী হলো লবণ মিশ্রিত পানিতে গার্গল করা। পানিতে থাকা লবণ ব্যথা তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে, ফলে অনেকখানি আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া ঠাণ্ডার সমস্যায় গার্গল করা হলে গলার আটকে থাকা কফ উঠে যায়, এতে করে গলাব্যথাসহ কাশির সমস্যাও প্রশমিত হয়।

মধু:
শুধু গলাব্যথার জন্য নয়, ঠাণ্ডার যেকোন সমস্যায় প্রাকৃতিক এই উপাদানের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু আগে থেকেই। এক চা চামচ শুধু মধু অথবা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া লাল চায়ের সাথে মিশিয়েও পান করা যেতে পারে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ধর্ম বিশিষ্ট মধু কাশির সমস্যা কমাতে ও গলা ব্যথাকে হালকা করতে খুব ভালো কাজ করে।

পিপারমিন্ট অয়েল:
ফ্রেশ নিঃশ্বাস ও মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে পিপারমিন্ট অয়েল বহুল ব্যবহৃত একটি এসেনশিয়াল অয়েল। তবে এই এসেনশিয়াল অয়েলের আরও একটি ব্যবহার রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। পিপারমিন্ট অয়েল গলা ব্যথা কমাতেও খুব ভালো কাজ করে। এতে থাকা মেনথল মিউকাসকে পাতলা করে এবং ব্যথাভাব কমায়। পিপারমিন্টে থাকা প্রদাহ বিরোধী, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ব্যথা তৈরিকারি জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে।

যষ্ঠিমধু:
ঠাণ্ডার যাবতীয় সমস্যায় যষ্ঠিমধুর ব্যবহার হয়ে আসছে বহু আগে থেকেই। এখনও গ্রামাঞ্চলের দিকে কাশি বা গলা ব্যথা দেখা দিলে যষ্ঠিমধু চিবিয়ে তার রস খাওয়ার প্রচলন দেখা যায়। যষ্ঠিমধু চিবিয়ে খেতে না চাইলে পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে সে পানিতে গার্গল করলেও উপকার পাওয়া যাবে।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার:
নানাবিধ উপকারিতা ও ব্যবহারের এসিভিও ব্যবহার করা যাবে গলার ব্যথা উপশমের মোক্ষম উপাদান হিসেবে। গবেষণা জানাচ্ছে, এসিভির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ধর্মই এক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। এছাড়া এতে থাকা অ্যাসিডিক ধর্ম মিউকাসকে ভেঙে ও পাতলা করে ব্যাকটেরিয়ার জন্মকে প্রতিরোধ করে। এতে করে গলা ব্যথা কমে যায়।

গলা ব্যথার সমস্যায় এক টেবিল চামচ এসিভি তথা অ্যাপল সাইডার ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিতে গার্গল করতে হবে। যদি পান করতে চান তবে এক টেবিল চামচ এসিভি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করতে হবে।

আদা:
আদার কথা বলা না হলে অপূর্ণ থেকে যাবে এই বিষয়টি। চমৎকার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, অ্যালিসিন সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক এই উপাদানটি যেকোন ধরনের ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, আদা গ্রহণে ঠাণ্ডাজনিত যেকোন ধরনের সমস্যা দূরে থাকে। গলা ব্যথার ক্ষেত্রে আদা চা, লাল চায়ে আদা মিশিয়ে অথবা কাঁচা আদা চিবিয়ে তার রস খেতে হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button