বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ল্যাপটপ-কম্পিউটার পণ্য আমদানিতে বসছে কর, লক্ষ্য দেশীয় উৎপাদন

বাজারে বিক্রির জন্য প্রদর্শিত ল্যাপটপ, ছবি : ইন্টারনেট

আল-আমীন দেওয়ান : ল্যাপটপ-কম্পিউটার পণ্য আমদানিতে বেশ অংকের কর বসাতে চাইছে সরকার।

দেশে স্মার্টফোন উৎপাদন খাত যেমন গড়ে উঠেছে তেমনি ল্যাপটপ-কম্পিউটার পণ্য উৎপাদন খাতও গড়ে তোলার উদ্দেশ্য এই করারোপের সিদ্ধান্ত ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় এসব পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর আলোচনা হয়েছে। যেখান হতে এ বিষয়ে এক রকম নির্দেশনাই পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর সম্প্রতি বসেছিলো এই ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশের পর ভবিষ্যত বাংলাদেশের রূপরেখা দিয়েছেন তিনি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টেকশহর ডটকমকে বলেন, ‘টাস্কাফোর্সের সভায় এটি সাধারণ আলোচনা হয়েছে। আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, আমাদের স্থানীয় উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে এবং এটার জন্য যন্ত্রাংশ ও কম্পিউটার পণ্যের করের পার্থক্যটা তৈরি করতে হবে।’

‘এই করারোপ গত অর্থবছরেই হতো, সেবার চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে এটা স্থগিত হয়েছে। এ বছর প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্মতিও আমরা পেয়েছি’ উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘টাস্কফোর্সের সভায় প্রকাশ্যেই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে, সভায় এনবিআরের চেয়ারম্যানও ছিলেন। মোটামুটিভাবে একটা নির্দেশনাই টাস্কফোর্সের সভা হতে এসেছে যে, স্থানীয় উৎপাদন করার যে শুল্ক পার্থক্য সেটা যেন করা হয়। যেটা এনবিআরের জন্য একটা ডিরেকশনই।’

সরকারের সামনে স্মার্টফোন উৎপাদন খাত একটি সফল উদাহরণ। দেশে এখন বিশ্বখ্যাত প্রায় সব স্মার্টফোন কোম্পানিরই কারখানা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে সরকার মোবাইল ফোন উৎপাদন এবং মোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানিতে ব্যাপক শুল্ক ছাড় দেয় আবার হ্যান্ডসেট আমদানিতে শুল্ক বাড়ায়। পাশাপাশি দেশে কারখানা করলে ক্যাশ ইনসেনটিভসহ নানা প্রণোদনার ঘোষণাও আসে। ফলে স্থানীয়ভাবে দেশী-বিদেশী কোম্পানিগুলোর কারখানার করার হিড়িক পড়ে যায়।

দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটার পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়। এরপর হতে এ খাতটি এই শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছিলো।

এবার করারোপের ক্ষেত্র হতে পারে, উৎপাদন, সংযোজন এবং আমদানি। স্থানীয় উৎপাদনে উৎপাদকরা সর্বোচ্চ করছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন। সংযোজনকারীরা এর পরের ধাপে। এই দুই খাতের উদ্যোক্তারা কম্পিউটার পণ্যের যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন, সেই সঙ্গে রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনাও থাকতে পারে।

আর আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে ফিনিশ ল্যাপটপ-কম্পিউটার বা কম্পিউটার পণ্য আমদানিতে থাকতে পারে উচ্চকর। এটা ২৫ হতে ৩০ শতাংশের মতো করার আলোচনা রয়েছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০২১-২২ অর্থবছেরর বাজেটে এই আমাদানি কর ৩০ হতে ৩২ শতাংশ করার প্রস্তাব ছিলো । যা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে বাদ পড়ে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button