সারাদেশ

ঢাকা থেকে সাইকেল চালিয়ে করোনা আক্রান্ত যুবক বরগুনায়

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক যুবক সাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনা গিয়েছেন। পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি তা শোনেননি। নিজের বাড়িতে উঠতে না পেরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন। পরে লালা (সোয়াব) পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ আসেলে প্রশাসন তার শ্বশুরবাড়িসহ দুটি বাড়ি লকডাউন করেছে।

সাভারের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ওই যুবক। ৫ এপ্রিল তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই যুবকের বাবা বলেন, ‘৭ এপ্রিল সকালে আমার ছেলের বউয়ের মাধ্যমে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি রওনা করার খবর জানতে পারি। পরে আমার ছেলেকে ফোন দিয়ে বাড়ি আসতে নিষেধ করি। কিন্তু সে তা শোনেনি। তিন দিন সাইকেল চালিয়ে ১০ এপ্রিল বিকেলের দিকে ছেলে বাড়িতে আসে। তার স্ত্রী তাকে ঘরে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাই সে তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেয়। শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর জানতে পারি, আমার ছেলের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে।’

ওই যুবকের স্ত্রী বলেন, ‘তাকে আমি বরগুনা আসতেই নিষেধ করেছিলাম। আমি সাভারে ডাক্তার দেখাতে বলেছিলাম। কিন্তু সে তা শোনেনি। বরগুনায় আসার পরও তাঁকে আমি বাড়িতে আসতে নিষেধ করে হাসপাতালে যেতে বলি। কিন্তু সে আমার কোনো কথাই শোনেনি। তাই তাকে আমি ঘরে উঠতে দিইনি।’

ওই যুবকের প্রতিবেশীরা জানান, বাড়িতে আসার পর দুই দিন তিনি তার শ্বশুরের ঘরেই ছিলেন। বাইরে বের হননি। পরে স্থানীয় কয়েকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে ১২ এপ্রিল পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১২ এপ্রিল ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়। ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তার রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে ওই যুবককে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তিনি এখন হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন।

এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই যুবক এখন ভালো আছেন। আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সার্বক্ষণিক তার কাছাকাছি থাকছেন।’

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ওই যুবকের শ্বশুরবাড়িসহ দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button