সারাদেশ

নীলফামারীতে ইসলামী ব্যাংকে ১০ জন করোনায় আক্রান্ত : বন্ধ সকল কার্যক্রম অন্য তিনটি ব্যাংকে

সৈয়দপুর প্রতিনিধি: নীলফামারীরতে গত কাল (৬, মে) পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৩ জনসহ সৈয়দপুর শাখাতেই ৯ জন এবং সদরে ১ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রতিদিনই ব্যাংকটিতে নতুন রেকর্ডে সংক্রমিত সনাক্ত হওয়ায় ব্যাংক পাড়াতে ব্যাংকার ও ব্যাংক গ্রাহকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে অন্য ৩ টি ব্যাংকও লকডাইন ঘোষনা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ৩য় ধাপে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সৈয়দপুর শাখায় ব্যবস্থাপকসহ নতুন করে ৩ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমনের পজিটভ রিপোর্ট আসে। এনিয়ে ওই ব্যাংকে ১১জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ১০ জনই করোনায় আক্রান্ত হলো। আক্রান্ত নতুন ৩ জনের মধ্যে সৈয়দপুর শহরের শহীদ বদিউজ্জামান সড়কে বসবাসকারী ২ জনকে গতকাল রাতেই সৈয়দপুর ১’শ শয্যা হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত দুইজনের বাড়িসহ ১৩ টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এদিকে গত ২৮ এপ্রিল ব্যাংকের ওই শাখাটি লকডাউন ঘোষনা করে ব্যবস্থাপক নিজ গ্রামের বাড়ি বগুড়া সেউজগাড়িতে চলে যান। সেখানে তিনি স্বেচ্ছায় কোয়ারিন্টনে থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করান। গতকাল তারও পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সেখানে তাকেও আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া ব্যাংকের ওই শাখাটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় পাঠানো রক্তের নমুনাতে ৬ জনের করোনা পজিটভ রিপোর্ট আসে। অন্যদিকে একই ব্যাংকের সদর শাখায় গত ২, মে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়। দিন দিন ব্যাংকে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ব্যাংক ও গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে সদরের কৃষি উন্নয়ন এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড সৈয়দপুর শাখা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনতা ব্যাংক লি: সৈয়দপুর শাখায় কর্মরত একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংকে কাজ করতে হচ্ছে পরিবারসহ সকলেই এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছে। আনিছুর রহমানের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসার কারণে অনেক ব্যাংকের সাথে তার লেনদেন রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি ব্যাংকে লেনদেন করতে আতঙ্কে ভুগছেন। এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, আতঙ্ক নয় সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যাংকারদের প্রত্যেকেই আইসোলোশনে নেয়া হয়েছে এবং তাদের আশেপাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সবাইকে ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button