সারাদেশ

বগুড়ার বৃহত্তম বিসিএল সুপার স্টোরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে ঈদের কেনাকাটা

স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টিএমএসএস এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিসিএল সুপার স্টোরে করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে কেনাকাটা।

বগুড়া শহরের নবাববাড়ী সড়কে যে কয়টি শপিংমল, সুপার স্টোর ও মার্কেট রয়েছে বিসিএল সুপার স্টোর তাদের মধ্যে অন্যতম। চার তলা বিশিষ্ট সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই সুপার স্টোরের প্রথম তলায় রয়েছে গ্রোসারীজ, টয়লেট্রিজ, ফুড এন্ড বেভারেজ। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ক্রোকারিজ, হোম এ্যাপলায়েন্স, শো-পিছ, ব্র্যান্ডেট ঘড়ি, পারফিউম, বেল্ট, মানিব্যাগ, অরনামেন্টস, কসমেটিকস্, বেবী টয়েস, ষ্টেশনারীজ, লেডিস ব্যাগ। তৃতীয় তলায় রয়েছে ছেলেদের শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী, ফতুয়া, বয়েজ ড্রেস, সু-সেন্ডেল, আন্ডার গার্মেন্টেস। চতুর্থ তলায় রয়েছে মেয়েদের শাড়ী থ্রি-পিছ, হেজাব, বেবী ড্রেস ও বিউটি পার্লার। সু-বিস্তৃত ফ্লোরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্রেতারা পছন্দ মতো পণ্য ক্রয় করছেন। সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে করোনা মোকাবেলায় সুপার স্টোরের সামনে বসানো হয়েছে সাবান দিয়ে হাত ধোাঁয়ার জন্য বেসিন। এ ছাড়াও প্রবেশ মুখেই নিরাপত্তা কর্মী হ্যান্ড স্যানাটাইজার দিয়ে আবারও হাত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করছে। সুপার স্টোরের প্রতিটি ফ্লোরে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে কিনা তা সুপার ভিশন করার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী পিপিই ও মাস্ক পড়ে হাতে হ্যান্ড স্প্রে নিয়ে ক্রেতাদের সচেতন করছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বগুড়া শহরের নবাববাড়ীতে বিসিএল সুপার স্টোরে করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্রেতারা ঈদের পণ্য ক্রয় করতে প্রবেশ করছেন।

শপিং মলের লাউড স্পিকারে বার বার করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর দিক ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার এ্যানাউন্স করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বগুড়া শহরের মালতী নগরের চাকুরিজীবি সোহেল মাহমুদ জানান এখানকার পরিবেশ দেখে ভাল লাগছে। করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এখান থেকে নিরাপদে কেনাকাটা করতে পেরে ভাল লাগছে। বিসিএল সুপার স্টোরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান সরকারের নির্দেশ মেনে আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছি। স্বাস্থ্য বিধি মানার ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ক্রেতা ও বিক্রয়কর্মীদের মুখে মাস্ক ও সাবান পানি দিয়ে হাত না ধুঁয়ে সুপার স্টোরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। শহরের অভিজাত এলাকা জলেশ্বরীতলার গৃহিনী ফারহানা জেসমিন জানান এখানে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে জেনে পরিবারসহ শপিং করতে এসেছি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button