শিক্ষাঙ্গন

ঢাবি’র শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখতে মানববন্ধন

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

তারা বলেন, আমরা জানি গণজমায়েত উচিত না। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে আজ আমরা এই কর্মসূচি আহ্বান করেছি। মানববন্ধন থেকে তারা তিনটি দাবি জানান। এগুলো হলো— করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন; কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকলে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনাভাইরাস দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে হানা দিয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে তিন জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে আইইডিসিআর। গতকাল নতুন করে দুই জন আক্রান্ত হওয়ার খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা থেকে জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ১২শ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই ঝুঁকির বাইরে নয়। বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আবাসন সংকটের কারণে হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়।

একবার গণরুমে কেউ আক্রান্ত হলে পুরো ক্যাম্পাসে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে এবং মহামারি আকার ধারণ করবে। এ ছাড়া ক্লাসরুমগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কোনো সভা-সেমিনারের চেয়ে কম না। ক্যাম্পাসে আসতে বহু শিক্ষার্থী গণপরিবহন ব্যবহার করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সুরক্ষার বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, বলেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বদরুজ্জামান বলেন, ‘একবার করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে লাভ কী! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কি মহামারি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? যদি কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, সেই দায় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে।’

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৪ জেলা শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। কোরোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার পরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে ৬৪ যাবে। এতে করোনা ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অবিলম্বে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা উচিত।’

মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button