লিড নিউজ

পশুর বর্জ্য ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করুন: তাপস

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ জন্য পশুর বর্জ্য ডিএসসিসির নির্ধারিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করতে আহ্বান করেছেন তিনি।

বুধবার সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন মেয়র তাপস। সেখানে নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মেয়র বলেন, ঢাকাবাসীর কাছে নিবেদন করব, আপনারা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন, কোরবানি দেবেন। আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বর্জ্য সংগ্রহকারীর বিশাল জনবল আজ থেকে কাজ করবে। আপনাদের কোরবানির বর্জ্য তাদের হাতে দেবেন, যাতে করে আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা শহর থেকে সব বর্জ্য অপসারণ করতে পারি। একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী যেন ঢাকাবাসীকে উপহার দিতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ত্যাগের মহিমায় আজ দেশব্যাপী ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক!

এর আগে করোনাভাইরাস মহামারি থেকে গোটা বিশ্বকে যেন আল্লাহ হেফাজত করেন সেই মোনাজাতে বায়তুল মোকাররমে দেশের প্রধান ঈদ জামাত সম্পন্ন হয়।

বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমেরই সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে তার সঙ্গে ছিলেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।

প্রধান জামাতের মোনাজাতে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর পরীক্ষা থেকে আল্লাহ যেন আমাদের হেফাজত করেন। আল্লাহ যেন মুসলিম উম্মাকে তথা দুনিয়াকে হেফাজত করেন, আমরা সেই মোনাজাত করব।’

ঈদুল আযহার দোয়া কামনায় তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ আমরা যেন আপনার হুকুমকে সামনে রেখে সঠিক নিয়মে,সঠিক নিয়তে কোরবানি করতে পারি। এ সুন্দর আমলকে যেন আমরা যথাযথ নিয়মে পালন করতে পারি, আমাদের তৌহিদ দান করুন। হে আল্লাহ আপনি রহমতের বরকত দ্বারা ভরপুর করে দিন।’

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও পঁচাত্তরের পনের আগস্টে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয় জামাতে।

এরপর বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়।

মৃত স্বজনদের জন্য যখন মোনাজাত ধরলেন,তখন সমবেত মুসল্লিদের চোখে ছিল জল। দু হাত তুলে মোনাজাত ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।

এদিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক; তাদের সঙ্গে যোগ দেন সমাজের নানা শ্রেণির নানা পেশার মানুষ।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ বাসা থেকে অজু করে আসেন, সাথে নিয়ে আসেন জায়নামাজ।স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এক কাতার অন্তর অন্তর দাঁড়িয়েছিলেন তারা। জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থেকে মুসল্লিরা ঈদ শুভেচ্ছা সেরে নেন হাসিমুখে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button