কুয়াকাটা সৈকত সুরক্ষা বাঁধ অনিয়মের প্রমান পেলেন তদন্ত কমিটি
সোলায়মান পিন্টু,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকত সুরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমান পেয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে অনিয়মের কথা জানান তদন্ত কমিটির প্রধান পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল হাফিজ।
কুয়াকাটার সৈকতের ভাঙ্গনরোধে সুরক্ষা বাধেঁর কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়ে চড়ে বসে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল হাফিজকে আহবায়ক, পাউবো কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. অলিউজ্জামানকে সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানকে সদস্য করে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। আর এ কমিটি মঙ্গলবার দুপুরে সুরক্ষা বাঁধ সরেজমিনে পরিদর্শন করে। তবে সৈকত সুরক্ষা বাধেঁর কাজের দায়িত্বে থাকা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীকে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করায় তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কলাপাড়া পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটার সৈকত ভাঙ্গনরোধে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে কুয়াকাটা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত ১৫৬০ মিটার দৈর্ঘ্য মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পাউবো। ৩০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪ মিটার প্রস্থ ৫৬টি জিও টিউব ও পিপি সাইজের ৮ হাজার পিচ জিও বস্তা দিয়ে এ মেরিন ড্রাইভ নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতিটি জিও টিউবের রিভার সাইডে ২.৭৪ মিটার প্রস্থের দুটি করে জিও বস্তা এবং কান্টি সাইডে ২.৭৪ মিটার উঁচু দুটি করে জিও বস্তা দিয়ে এ মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ সৈকত সুরক্ষা বাঁধ নির্মান করতে হবে এমন নির্দেশনায় ১৫ এপ্রিল কার্য্যাদেশ দেওয়া হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিজে জিও টেক্সটাইল লিমিটেডকে।
কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর শাহ-আলম জানান, যে দুর্নীতি করেছে তাকেই আবার এ তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। তাতে কি সঠিক তদন্ত হবে?
কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট জানান, পাউবোর দুর্নীতি শুধু কুয়াকাটা সুরক্ষা বাধেঁই নয়। তাদের মহিপুরস্থ জায়গায়ও দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে।
পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুল হাফিজ সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক ভাবে দেখেছি কাজগুলো ভাল হয়নি। তদন্ত শেষে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া একাজে যদি কোন কর্মকর্তার গাফেলতি থাকে তাহলে তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।