আন্তর্জাতিক

হংকংয়ে বিক্ষোভ ধরপাকড় চলছেই

সপ্তাহের শুরুতেই ফের রাস্তায় নেমেছে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা। নেমেই দাঙ্গা পুলিশ ও সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহিংসতায় জড়িয়েছে। তিন মাসের বেশি সময় চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শনিবার চীনের মূল ভূখণ্ডের সীমানায় তুয়েন মুন শহরে ব্যারিকেড গড়ে বিক্ষোভ দেখায় কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীর একটি দল।

কিছুক্ষণের মধ্যেই দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে তারা। ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মধ্যেই অব্যাহত রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ধরপাকড়। এদিন নতুন করে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। খবর এএফপির।

প্রথমে অপরাধী প্রত্যর্পণের দাবিতে শুরু হলেও বিক্ষোভ শিগগির চীনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। বৃহত্তর গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দাবিতে এ আন্দোলন শনিবারই ১৬ সপ্তাহে গড়িয়েছে। প্রথমে শান্তিপূর্ণ হলেও গত মাস থেকেই সহিংস চেহারা নিয়েছে বিক্ষোভ।

গত সপ্তাহেই একটি থানা ভবনসহ কয়েকটি সরকারি অফিসে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এসব হামলার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড আখ্যায়িত দিয়ে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিচ্ছে বেইজিং। গত ৯ জুন আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।

শনিবার ফের সেই একই চেহারা আর মেজাজে হাজির হয় বিক্ষোভকারীরা। তুয়েন মুন শহরের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল দিয়ে দিন শুরু হয়। একপর্যায়ে একদল বিক্ষোভকারী এক সরকারি অফিসের বাইরে টানানো চীনের পতাকা টেনে ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ধাওয়া দেয় এবং কয়েকজনকে আটক করে।

এরপর কয়েকশ’ সাহসী কর্মী রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করে এবং নিকটস্থ কংক্রিটের সব বেড়া গুঁড়িয়ে দেয়। এরপরই পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে বিক্ষোভকারীরা কিছুক্ষণের জন্য রণেভঙ্গ দিলেও পুনরায় ফিরে আসে। এরপর ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ।

বরাবরের মতোই এদিন বিক্ষোভে অংশ নেন ২২ বছর বয়সী ক্যালভিন তান। তিনি বলেন, বেশিরভাগ বিক্ষোভকারীই ‘দীর্ঘমেয়াদি লড়াই-সংগ্রাম’-এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যত ছোটই হোক প্রত্যেকটা বিক্ষোভেরই গুরুত্ব রয়েছে।

যদিও আপাতদৃষ্টিতে এতে খুব বেশি লাভ হয় না বলে মনে হয়। চলমান বিক্ষোভ একটা ম্যারাথন দৌড়ের মতো। আর ছোট ছোট বিক্ষোভ কর্মসূচি পদক্ষেপের মতো।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button