রংপুর বিভাগসারাদেশ

সৈয়দপুরে কেনাকাটার হিড়িক

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: কঠোর লকডাউনের আগে বৈশাখ আর ঈদের কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাচাবাজার, বিপণিবিতান ও শপিংমলগুলোতে। দেশে কোভিড-১৯ দিন দিন সংক্রমন ও মৃত্যুহার ঊর্ধ্বগতি হলেও তা যেন নাড়া দিচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। ভিড় ঠেলে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে বিভিন্ন দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা। গাদাগাদি করে কার আগে কে কিনবেন পছন্দের পোশাক বা প্রয়োজনীয় সামগ্রী, চলছে যেন তারই প্রতিযোগিতা। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার নেই কোন প্রবণতা। এদিকে ক্রেতাদের প্রতিযোগিতার সুযোগে ব্যবসায়ীরা প্রায় দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে প্রতটি পণ্য। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শপিংমল খোলার ৩য় দিনে রবিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকেই ফুটপাত, সৈয়দপুর প্লাজা, শিল্প সাহিত্য সংসদ সুপার মার্কেট,চৌধুরী টাওয়ার,রেলওয়ে কাপড় মার্কেট, কাপড়ের পুরাতন মার্কেট ও সবজিবাজারে বাড়তে থাকে ক্রেতাসমাগম। সময় যত গড়িয়েছে ক্রেতার চাপে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ব্যবহারে চরম অনীহা দেখা যায় ক্রেতা – দর্শনার্থীদের। আবার বিপণিবিতানের ভেতরে মাস্ক ছাড়া দেখা যায় বিক্রয় কর্মীদেরও। ক্রেতাদের অনেকেরই দাবি, অনেকটা বাধ্য হয়ে এসেছেন কেনাকাটা করতে। শহরের ইসলাম বাগ এলাকার শাহানাজ পারভীন নামের এক গৃহিনী বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ১৪ তারিখ থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণাপত্র দিয়েছে সরকার। তাই আমার ছোট দুটি ছেলে-মেয়ের জন্য বৈশাখ ও ঈদের কাপড় কিনতে এসেছি। কিন্তু গতবারের চেয়ে অনেক বেশি দাম চাইছে বিক্রেতারা। মাস্ক ছাড়াই বাজার করতে আসা আতিয়ার কলোনী এলাকার আলমগীর হোসেন নামের এক বেসিরকারী চাকুরিজীবি জানান, সামনে রমজান। লকডাউনে কখন কি হয় বলা যায় না,তাই মাসের বাজার করতে এসেছি। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানেই প্রতিটি পন্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুন। করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক ছাড়াই বাজারে আসার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভুল করে মাস্ক বাসায় রেখে এসেছি। মুদি দোকানদার আসগর আলী। তিনি মাস্ক ছাড়াই দিব্যি বেঁচাবিক্রি করছে। তিনি বলেন, এই গরমে মাস্ক পড়তে কস্ট হয়। দামের বিষয়ে বলেন, পাইকারি বাজারে বেশি এবং চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ জানান, বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ককরা হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় সচেতনার বিকল্প নেই। তিনি ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button