স্বাস্থ্য

গর্ভাবস্থা ও কিডনির অসুখ

গর্ভাবস্থায় কিডনির উপর আলাদা চাপ পড়ে৷ যাদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা আছে গর্ভাবস্থায় তাদের সমস্যা আরো প্রকট হতে পারে। ক্রনিক কিডনির অসুখ বোঝার উপায় রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিনের এলবুমিন পরীক্ষা। এই দুটি পরীক্ষা থেকে বোঝা যায় কিডনিতে সমস্যা আছে কিনা। পরীক্ষায় যদি দেখা যায় ইউরিনে প্রোটিন আসছে বা রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে এবং তিনি যদি প্রেগন্যান্ট হোন, তখন কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমত, ক্রিয়েটিনিন যদি খুব বেশি হয় তাহলে তা হলে গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বাড়তে পারে, কিডনি ফেলিওর হতে পারে।

এমনকি গর্ভের সন্তানের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ প্রয়োজনে প্রিটার্ম ডেলিভারি করতে হতে পারে। অন্যদিকে কারও কিডনির অসুখ হয়তো নেই কিন্তু তিনি প্রেগন্যান্ট। প্রেগন্যান্সিতে কতগুলো সাধারণ সমস্যা হয়। যার মধ্যে একটা প্রি-একলাম্পসিয়া অর্থাৎ রক্তচাপ বেড়ে যায়, তখন তা থেকে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রেগন্যান্সিতে কিডনির অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই নিয়মিত চিকিৎসকের ফলো আপে থাকতে হবে। ইউরিনে প্রোটিন বা রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button