মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া সদরের বারপুর মধ্যপাড়ায় ছুরিকাঘাতের পর বুধবার সকালে তার মৃত্য হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মায়ার লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি তদন্ত রেজাউল করিম রেজা জানান, বগুড়া সদর উপজেলার বারপুর মধ্যপাড়া এলাকার আবু জাফরের ছেলে রাকিবুল হাসানের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে শিবগঞ্জ উপজেলার গৌরঘাট এলাকার তোজাম্মেল ওরফে বিশার মেয়ে মায়া খাতুনের বিয়ে হয়। রাকিবুল পেশায় একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী। তিনি বগুড়া পৌরসভায় মাস্টার রোলে কাজ করেন। তবে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। তারই এক পর্যায়ে রাকিবুল ধারালো ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর পেটে আঘাত করেন। এসময় তিনি চিৎকার দিলে শাশুড়িসহ প্রতিবেশীরা মায়াকে উদ্ধার করে টিএমএসএম মেডিকেল কলেজ ও পরে রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে মায়ার মৃত্যু হয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, মায়াকে ছুরিকাঘাতের খবর পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ তার স্বামী রাকিবুল হাসানকে খুঁজছিল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে শহরের মাটিডালি এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাকিবুল জানিয়েছে, দাম্পত্য কলহের জেরেই তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডে এখনও মামলা হয়নি।