সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল।
তিনি বলেন, ‘এটি কোনো গুজব নয়। আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু। সোমবার বিকেলে সাড়ে চারটায় রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা গত ৭ সেপ্টেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। সেদিন রংপুর উপনির্বাচনের মনোনয়ন বাছাই বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে রাজুকে চূড়ান্ত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেদিন এও বলেছিলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দেশের বৃহৎ দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে প্রার্থী দিতে হয়, তাই দিলাম। আবার যেহেতু জাতীয় পার্টি (জাপা) আমাদের মহাজোটের অংশ, তাই প্রয়োজেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে। তখন আমরা জোটগত নির্বাচন করব। কোনো অভিমান রাখা যাবে না।’
জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যানের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা।
রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ছাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। ইতিমধ্যে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাপার এক শীর্ষ নেতা।
জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনে ৫ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।