শ্বেতী রোগের কারণ-লক্ষণ
শ্বেতী রোগের ইংরেজি শব্দ Albinism এসেছে ল্যাটিন Albus থেকে যার অর্থ হল শ্বেত বা শাদা। শ্বেতী হল এবং ধরনের বংশগত রোগ। জিনের পরিবর্তনের ফলেই এই রোগ হয়। যখন ত্বকের কোষগুলো ক্ষয় হয় বা মারা যায় তখন শ্বেতী রোগ হয়। কারণ ত্বকের কোষগুলোই মেলানিন তৈরি করে। শ্বেতীর ফলে ত্বকের উপর সাদা দাগের আকার দেখা যায়।
নারী কিংবা পুরুষ যে কোনো বয়সেই এই শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত শরীরের যেসব অঙ্গ আবরণমুক্ত থাকে যেমন হাত, পা, মুখমণ্ডল এবং ঠোঁট ইত্যাদি অংশে শ্বেতী বেশি দেখা যায়। শ্বেতীরোগে সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশে সাদা বর্ণের দাগ দেখা যায়। এ ছাড়া বংশগতভাবেও শ্বেতী রোগ হতে পারে। তবে শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়।
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। অনেক সময় এটি পুরোপুরি সেরে যায় না। আবার কোনো চিকিৎসা ছাড়াই রোগ সেরে উঠতে পারে।
শ্বেতী রোগ তিনভাবে হতে পারে:
১। শরীরের অল্প কিছু অংশে
২। যে কোন একদিকে (বাম অথবা ডান দিকে)
৩। শরীরের অধিকাংশ জায়গায়
শ্বেতী রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো সাধারণত: হলো :
১। ত্বকের উপর সাদা দাগ পড়লে
২। অল্প বয়সে মাথার চুল, চোখের পাপড়ি, ভ্রু, দাড়ি সাদা বা ধূসর হলে
৩। মুখের ভিতরের কলাগুলো বর্ণহীন হলে (Mucous membranes)
৪। চোখের ভিতরের অংশ রংহীন হলে অথবা রংয়ের পরিবর্তন হলে
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে শনাক্তকৃত শ্বেতী রোগের কার্যকর চিকিৎসা আছে। যেমন-মেডিকেল থেরাপি, ফটোথেরাপি, লেজার থেরাপি, কসমেটিক সার্জারি ইত্যাদি। রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসা নির্বাচন করা হয়।