লিড নিউজ

হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃতু্যবার্ষিকী আজ

নন্দিত কথাশিল্পী ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃতু্যবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের এ দিনে ‘না ফেরার দেশে’ পাড়ি জমান এ কথাসাহিত্যিক। অন্যান্য বছরের মতো না হলেও এই দিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণ করবে হুমায়ূনভক্তরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা আয়োজন হবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। পরিবার ও ভক্তদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান নেত্রকোনা এবং তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা গাজীপুরের নুহাশ পলস্নীতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতেও তার নাটক, চলচ্চিত্র, গান ও সাহিত্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা থাকছে। জানা গেছে, শিল্প-সাহিত্যের বেশিরভাগ শাখায় কীর্তি রেখে গেছেন হ?ুমায়ূন আহমেদ। হ?ুমায়ূন আহমেদ একদিকে সাহিত্য দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন পাঠককে, অন্যদিকে নির্মাণ করেছেন অনন্য সব নাটক, চলচ্চিত্র ও গান। তার হাত ধরেই তারকার সম্মান পেয়েছেন এ দেশের অনেক শিল্পী। তার সৃষ্টিতে উঠে এসেছে নৈসর্গিক দৃশ্য, জোছনা, বৃষ্টিসহ বাংলার চিরচেনা প্রকৃতির ব্যঞ্জনা। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন হ?ুমায়ূন আহমেদ। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ তাকে এনে দেয় পরিচিতি। এরপর লিখেছেন তিন শতাধিক গ্রন্থ। যার প্রায় সবই সাড়া ফেলেছে দেশ-বিদেশের পাঠক মহলে। টেলিভিশনের জন্য একের পর এক দর্শকনন্দিত নাটক রচনা ও পরিচালনার পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ দর্শকদের দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পায়। ২০০৩ সালে নির্মাণ করেন ‘চন্দ্রকথা’। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে হ?ুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন ‘শ্যামল ছায়া’। ছবিটি ২০০৬ সালে অস্কারের সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিল। ২০০৮ সালে ‘আমার আছে জল’ পরিচালনা করেন তিনি। তার সব চলচ্চিত্রের বেশির ভাগ গান তিনি নিজেই রচনা করেছেন। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত শেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button