আন্তর্জাতিক

বালাকোটে জঙ্গিরা ফের সক্রিয়

পাকিস্তানের বালাকোটে ফের জঙ্গিরা সক্রিয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপীন রাওয়াত।

জেনারেল রাওয়াত বলেন, বালাকোটকে পাকিস্তান আবারও সক্রিয় করে তুলেছে। এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে বালাকোট ভারতীয় বিমান হামলায় সেসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই ঘটনা এই বাস্তবতাও তুলে ধরে যে, বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনী কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু এখন ওই জঙ্গিরা আবার সেখানে ফিরে এসেছে।

এর আগে একটি সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বালাকোটে ফের সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি শিবিরগুলি। এরপরেই ভারতের সেনাপ্রধান এই মন্তব্য করেন।

জানা গেছে, প্রায় ১২৯ জন জইশ জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য এবং ইসরায়েলের তৈরি লেজার-গাইড বোমা দিয়ে আঘাত করার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সুযোগের অপেক্ষায় ওই শিবিরগুলিতে আত্মগোপন করে আছে।

এর আগে ফেব্রয়ারিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী বালাকোটে বোমাবর্ষণ করে ধ্বংস করে জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর বেশ কিছু শিবির।

গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু, তাতে তেমন ফল মেলেনি। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ সভা রয়েছে। সেখানেও যে ইসলামাবাদ একইরকম চেষ্টা চালাবে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, কূটনৈতিক পদক্ষেপের পাশাপাশি ‘ভিন্ন’ চেষ্টাও চালাচ্ছে পাকিস্তান।

পুলওয়ামা হামলার পর জইশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে ‘কড়া ব্যবস্থা’ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর পাক ভূমিতে জইশকে ‘ছাড়’ দিয়েছে ইসলামাবাদ। ফলে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীটি।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যকেও টার্গেট করতে পারে জইশ। নাশকতা চালানোর জন্য ভারতের ভেতরে এবং বাইরে থেকে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত জঙ্গিদের কাজে লাগাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে জন্য কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। কাশ্মীরে নাশকতা চালানোর জন্য পাকিস্তানের ভাওয়ালপুর, পেশওয়ার ও জমরুদ এলাকায় ৫০ জন জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

একই সঙ্গে সক্রিয় করে তোলা হয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকেও।

জইশ জঙ্গিদের তৎপরতা নিয়ে এক জাতীয় নিরাপত্তা আধিকারিক জানিয়েছেন, আত্মঘাতী হামলা হতে পারে। কাশ্মীরে যে টেলিফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে তা ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে জঙ্গিরা। তারপর তারা ঢুকে হামলা চালাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই আধিকারিক।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button