যশোরে অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা
যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: যশোরে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল গুলিতে অভিযান চালানো হয়েছে।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম এ অভিযান চালায়। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেয় জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রহিম মোড়ল, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজসহ অফিসের দুজন কর্মচারি।
আভিযানিক টিম বুধবার শহরের ৬টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়। হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলি হচ্ছে শহরের মুজিব সড়কের ল্যাব এইড, নিরালাপট্টির নোভা ডায়াগনস্টিক, জেনারেল হাসপাতালের সামনে অসীম ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক, দেশ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক, পপুলার মেডিকেল, ও স্ক্যান হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
আভিযানিক টিমটি সবকটি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব প্যাথলজিতে অনিয়ম লক্ষ্য করে। ফলে সব গুলি হাসপাতাল, ক্লিনিকের ল্যাব প্যাথলজি সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়। বিশেষ করে অনিয়মের শীর্ষে রয়েছে স্ক্যান হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ হাসপাতালের এখানে নিয়মিত কোন ডিউটি ডাক্তার নেই। অন কলে ডাক্তার দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করা হচ্ছে। প্যাথলজি অপরিচ্ছন্ন। অদক্ষ প্রশিক্ষনহীন টেকনিশিয়ান দ্বারা প্যাথলজি পরিচালিত হয়। পোস্ট অপারেটিভ রুমে এসি নেই। প্রি অপারেটিভ রুম অপরিচ্ছন্ন (অপারেশনের আগে যে রুমে রােগী রাখা হয়)। এসি নেই। এ হাসপাতালে ৩০ বেডের অনুমোদন থাকলেও ডিপ্লোমা পাশ কোন নার্স নেই।
একই অবস্থা পপুলার মেডিকেলের। এখানেও অদক্ষ প্যাথলজিস্ট দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আব্দুল গনি নামে একজন প্যালজিস্ট দিয়ে দায় সারা ভাবে ল্যাব পরিচালনা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডা মীর আবু মাউদ বলেন, প্রথম দিনে এদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একই অনিয়ম দেখা গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত সব ল্যাব প্যাথলজি সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকবে।