খেলা

জিততেই হবে মেয়েদের

মারাত্মক ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে প্রথম ম্যাচে হেরেই। থাইল্যান্ডের কাছে ০-১ গোলের হার বলতে গেলে সম্ভবনাই শেষ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা। অথচ এই ম্যাচে জয় দিয়েই স্বপ্নের বীজ বুনতে চেয়েছিল তারা। এরপরও তাদের ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলের সেমি ফাইনালে যাওয়ার। এজন্য করতে হবে অসাধ্য সাধন । এই মিশনে জয়ের বিকল্পই নেই বুধবার জাপান এবং ২১ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু সেটা কী করতে পারবেন মারিয়া- মনিকারা? যারা অপেক্ষকৃত দুর্বল থাইল্যান্ডের জালেই বল ফেলতে পারেনি তাদের পক্ষে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে কী জেতা সম্ভব? কিংবা জাপানকে রুখে দেয়া অস্ট্রেলিয়াকে কাবু করা। ২০১৪ অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন জাপান। ২০১০ এবং ২০১৬ সালের রানার্সআপ তারা। তাদের বিপক্ষে  জয়ের আশা করাটা দুঃসাহসই।

লাল সবুজ দলের সহকারী কোচ সহকারী কোচ মাহাবুবুর রহমান অবশ্য স্পষ্টই জানালেন, ‘আমাদের জয়ের চেষ্টা করা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগই নেই। তা না হলে যে ছিটকে পড়তে তবে।’ সেই ঘোষণাও পরিস্কার করে দিলেন না কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তার বক্তব্য, আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই, দেশের মহিলা ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আজ জাপানের বিপক্ষে এবং পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলতে চাই। সবাই জানেন ফুটবলে হার জিত সবই হতে পারে।’

বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায় থাইল্যান্ডের ছনবুরির আইপিএল স্টেডিয়ামে জাপানের মুখোমুখি ছোটন বাহিনী। অন্য ম্যাচে মুখোমুখি থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।

মহিলা ফুটবলে জাপানের র‌্যাংকিং ১১তম। বাংলাদেশ আছে ১৩০ এ। ২০১৭ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চ’ড়ান্ত পর্বে এই ছনবুরিতেই জাপানের কাছে ০-৩ গোলে হার বাংলাদেশের।  সেই আসরে জাপান হয়েছিল তৃতীয়। অবশ্য এবার তাদর গভীর টেনশনে ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে সকারুজরাাভ গোলশূন্যতে ঠিকিয়ে দেয় জাপানকে। অথচ ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫-০তে উড়িয়ে দিয়েছিল জাপান। তাই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জাপানী মেয়েরা আজ মরন কামড় দেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। অবশ্য তাদের মরিয়া মনোভাবের বিপরীতে মারিয়ারা কাউন্টারে গোল আদায় করতে পারলে তা হবে ইতিবাচক। সে পরিকল্পনাও আছে ছোটনের মাথায়।

তবে যত ছকই করা হোক না কেন বাংলাদেশ দল যে বুধবার জাপানী টাইফুনের কবলে পড়বে এটা অনুমেয়। অবশ্য সহকারী কোচ লিটু গতবারের জাপান দলের সাথে তুলনায় গিয়ে বতর্মান দলকে কিছুটা দুর্বলই উল্লেখ করলেন। তার মতে, ‘গত ম্যাচে জাপানীদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্সই ছিল বেটার।’ যদিও বাংলাদেশ দলের সমস্যা তারা নিজেরাই। স্ট্রাইকাররা গোল মিস করেন আর গোলরক্ষক রুপনার ভুলের মাশুলে হারতে হয় দলকে। সাথে আছে ডিফেন্স লাইনের দায়িত্বহীন খেলা। গত ম্যাচে রাইট ব্যাক আনাই মুগিনিরি ভুলেই ফ্রি-কিক এবং এরপর গোলরক্ষক রুপনার ভুলে হার নিশ্চিত করা গোল হজম। এজন্য ডিফেন্ডারদের আরো সতর্ক হতে হবে। এমনটাই উল্লেখ করলেন দীর্ঘদেহী স্টপার ব্যাক আঁখি খাতুন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button