আইন-আদালত

কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

সাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জেল-জরিমানার ঘটনায় ওএসডি হওয়া কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ডিসিসহ চারজনকে জনপ্রশাসনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। ওএসডি থাকাকালে তাদের বেতন বন্ধ থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ওখান (কুড়িগ্রাম) থেকেও একটি মামলা হবে।

ফরহাদ হোসেন আরোও বলেন, জামালপুরের জেলা প্রশাসকের (নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা) মতো এরপর তাদের শুনানির সম্মুখীন হতে হবে। দোষের মাত্রা ও সার্ভিস রুলস অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৩ মার্চ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শুনানি শেষে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাজিমুদ্দিনসহ দুই-তিন জনের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের তদন্ত শেষে দুদককেও বলবো তাদের দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য।

তিনি বলেন, নাজিম উদ্দিন উখিয়াতেও ঝামেলা করেছিল। একজন ছোট অফিসার জয়েন করে কোটি টাকা কামাই করেছে, এটা মানা যায় না।

‘তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা থাকবে। এটা উদাহরণ হবে সবার জন্য। তাদেরকে শাস্তি দিয়ে অন্যকে শেখানো যে দুর্নীতিকে এই সরকার টলারেন্স করবে না। আমরা জনমুখী ও জনবান্ধব প্রশাসন গড়বো,’ যোগ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী।

উলেখ্য, গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ির দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের জেল দেওয়ার ঘটনায় ১৫ মার্চ ডিসি সুলতানা পারভীনসহ চারজনকে জনপ্রশাসনে ওএসডি করা হয়। অপর তিন কর্মকর্তা হলেন- সহকারী সচিব নাজিম উদ্দিন, রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button