রংপুর বিভাগসারাদেশ

কুড়িগ্রামের গীড়াই নদীর দু’পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

 কুড়িগ্রাম ।। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সেনপাড়ায় অত:পর পানির তীব্র স্রোতের টানে ভেঙে ভেসে গেছে হেলে যাওয়া কাঠের সাঁকো। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় পড়েছে গীড়াই নদীর দুই পাড়ের মানুষ। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সেনপাড়া-বোয়ালেরডারা সড়কেগীড়াই নদীতে এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে।
পরবর্তীতে ২০২০ সালে সেখানে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যায়ে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিছুদিন আগে সাঁকোর জায়গাটি বাদ রেখে দুই দিকে খনন করায় নদী আরো গভীর হয়। এতে ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও বন্যা না হওয়ায় মত টিকে যায় সেটি। গত কয়েকদিন আগে অসময়ের বৃষ্টিতে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সেনপাড়া ও বোয়ালেরডারার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ওই গীড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতের প্রবাহিত হতে থাকে।
গেল বুধবার রাতে স্রোতের টানে হেলে যায় কাঁঠের সাঁকোটি। তার একদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে সেটি ভেঙ্গে ভেসে যেতে থাকে। পরে স্থানীয়রা তা আটক করে নদীর দক্ষিণ পাশের কিনারে বেঁধে রাখে। সেখানেই পানিতে ভাসছে কাঁঠের সাঁকোটি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুই পাড়ের সেনপাড়া, বোয়ালেরডারা ও পাটেশ্বরী গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
স্থানীয় কাজল চন্দ্র, নির্মল সেন, রাসেল মিয়া, জয়নাল আবেদিন, বিনয় সেন, বিমল সেন, মকবুল হোসেন, গিয়াস উদ্দিনসহ অনেকেই জানান গত ৬ অক্টোবর কাঁঠের সাঁকোটি হেলে গেলে সেটি রক্ষায় তারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। ৭ অক্টোবর সরেজমিন পরিদর্শনে যান উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান। তার আগেই ভেঙ্গে ভেসে যায় সাঁকোটি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান জানান, আমি সরেজমিন গিয়ে বলেছি পানি কমে গেলে আপাতত দুই পাশের মানুষের চলাচলের জন্য সাঁকোটি সংস্কার করা হবে। পরে দ্রুত সেখানে যাতে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বলে আমি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button