প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অনেকেই অখুশি, কিন্তু কিছু করার নেই। দুর্নীতি করে কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি রোধের মাধ্যমে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করা হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
দেশে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অনেকেই অখুশি এমন কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি করে কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। এমনকি দলীয় লোক হলেও ছাড় পাবে না বলে তিনি জানান।
শুদ্ধি অভিযান চালানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আর যেন ওয়ান ইলেভেন না হয়, সে কারণেই দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা সামাজিক বৈষম্য দূর করার জন্য কাজ করছি। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল নিশ্চিত করাটাও এই দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরতের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছি।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। দুর্নীতির কারণে সেটা নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। প্রকল্পের প্রতিটি পয়সা যাতে যথাযথভাবে ব্যয় হয় সেই পদক্ষেপও নেওয়া হবে।
প্রবাসীদের জন্য নতুন কী নীতিমালা নেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধনমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার বিষয় হল, প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠালে আমরা ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছি। তারা যাতে সহজে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে, কোনো রকম অসুবিধা না হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরেকটা হচ্ছে বিমান- অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তখন বিমানের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ইতোমধ্যে প্রায় ১০টি উড়োজাহাজ আমরা ক্রয় করেছি। এবার নিউইয়র্কে সরাসরি বিমান চলাচলের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
এ ব্যাপারে আইন ও নিরাপত্তা বিষয়েও ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া দেশে আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছি। সেখানেও প্রবাসীরা যাতে বিনিয়োগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।