খেলালিড নিউজ

তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির অনন্য উচ্চতায় মুশফিক, বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক উজ্জ্ব নক্ষত্রের নাম মুশফিকুর রহিম! অনেক আগেই তিনি পরিচিত হয়েছেন ব্যাটিং স্তম্ভ হিসেবে।

সোমবার মিরপুরে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেলেন ৩২ বয়সী ডানহাতি এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের ১৫৩.২ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূ্র্ণ করেন তিনি। ৩১৫ বল মোকাবেলা করে ২৮টি বাউন্ডারিতে ডাবল সেঞ্চুরির মাইফলক স্পর্শ করেন। পরের বলে মাত্র এক রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান তুলে ২৯৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। মুশফিকু রহিম ২০৩ ও তাইজুল ইসলাম ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ৭০তম টেস্ট খেলতে নেমেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। মুশফিক ছাড়া আর কোন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের এই কৃতিত্ব নেই। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে করেছিলেন ১৫৯।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকায় করেছিলেন অপরাজিত ২১৯। নিজের তো বটেই বাংলাদেশেরই টেস্টে যা সর্বোচ্চ। দেশের হয়ে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি আছে।

মুমিনুল হক ৭৯ ও মুশফিকুর রহিম ৩২ রানে অপরাজিত থেকে আজ সোমবার ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। দিনের শুরুতেই মুমিনুল সেঞ্চুরি তুলে নেয়। এরপর মুশফিকুর রহিম লাঞ্চের পর তুলে নেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। ১৬০ বলে ১৮টি বাউন্ডারিতে ১০০ রান পূর্ণ করেন দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান।

তৃতীয় দিন সকালে সেঞ্চুরির পর বিদায় নেন মুমিনুল হক। মুশফিকের সাথে ২২২ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৩৯৪ রানের মাথায় এনডিলোভুর দারুণ ফিরতি ক্যাচে ফিরলেন মুমিনুল বেরিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ওড়াতে চেয়েছিলেন মুমিনুল হক। তবে দারুণ রিফ্লেক্সে ক্যাচ মুঠোয় জমিয়ে তাকে চমকে দিলেন আইন্সলে এনডিলোভু। টেস্টে এটাই বাঁহাতি এই স্পিনারের প্রথম উইকেট। ২৩৪ বলে ১৪ চারে ১৩২ রান করেন মুমিনুল। এরপর দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে দিলেন আইন্সলে এনডিলোভু।

বাঁহাতি স্পিনারকে সরে গিয়ে কাট করেছিলেন মিঠুন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় কিপারের কাছে। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন মিঠুন। পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত, উল্টো নষ্ট হয় একটি রিভিউ।

এরপর মুশফিকের সাথে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১১ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন লিটন কুমার দাস। সাজঘরে ফেরার আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। ৯৫ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করে সিকান্দার রাজার বলে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ৬ উইকেটে ৫৩২।

এরপর আগে মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button