জাতীয়

আমিষের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই

বিশ্ব ডিম দিবসের সভায় বক্তারা

মেধাবী জাতি গড়তে প্রতিদিন একজন মানুষকে অন্তত একটি করে ডিম খেতে হবে। ডিম খাওয়ার কোনো বয়স লাগে না। জন্মের আগে থেকেই মায়ের শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণে ডিমের ভূমিকা রয়েছে অনেক। জীবনের প্রতিটি ধাপেই পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিম দরকার। তাই শৈশব, কৈশোর, যৌবন এবং জীবনের বাকিটা সময় শরীরের জন্য মূল্যবান অত্যাবশ্যকীয় আমিষের চাহিদা পূরণে ডিমের তুলনা নেই। শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথাই বলেছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর (ডিএলএস), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ওয়ার্ল্ড’স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার, ওয়ার্ল্ড’স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পোলট্রি সায়েন্সে’র অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন। এর আগে ডিম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে সেদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়। আর এবারের ডিম দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সুস্থ মেধাবী জাতি চাই, প্রতিদিনই ডিম খাই’। সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, দেশে প্রতি বছর ডিম উৎপাদন বাড়ছে।

আর এই সাফল্যের অন্যতম অংশীদার এ দেশের ডিম খামারিরা। তবে পণ্যের দাম না পাওয়ার কারণে অনেক সময়ই তৃণমূলের খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই তাদের ঝরে পড়া রোধ করতে পোলট্রি বীমা চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুদের পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্কুলের টিফিনে সিদ্ধ ডিম দেয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে সরকার। তিনি বলেন, অনেক সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেখা যাচ্ছে মুরগির খাবারে বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপাদান মেশানো হচ্ছে। এতে করে আমরা আমাদেরই ধ্বংস করছি। যারা এসব কাজ করছেন, তারা এসব কাজ থেকে সরে আসুন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল বলেন, শিক্ষিত যুবকদের পোলট্রি পেশায় আসা উচিত। কারণ ডিম উৎপাদনের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। খামারিদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। শিক্ষিত জনবল থাকলে এই সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button