রংপুর বিভাগসারাদেশ

রৌমারীতে স্কুল ঘরের টিন চুরির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি প্রধান শিক্ষকের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারাণ সম্পাদক ও দৈনিক শিক্ষা এবং দৈনিক জনতা পত্রিকার রৌমারী প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন সাখাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় বুধবার (১০ জুন) রাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রৌমারী থানায় জিডি করেছেন সাংবাদিক সাখাওয়াত। যাহার জিডি নং ৩৫৫।
অভিযোগে জানা যায়, গত শনিবার (৬ জুন) দৈনিক শিক্ষা ও দৈনিক জনতায় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্কুল ঘরের টিন চুরির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত বুধবার (১০ জুন) বিকেলে ডিসি রাস্তায় সাংবাদিক সাখাওয়াত কে একা পেয়ে হঠাৎ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। সাংবাদিক সাখাওয়াত কে হত্যা করে ভারত সীমান্তের ওপারে লাশ গুম করার হুমকি দেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম।
একপর্যায়ে সাংবাদিক সাখাওয়াতসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ওই প্রধান শিক্ষককে আটকের চেষ্ঠা করলে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় পথচারী ব্যক্তিদেরও ঘটনার বিষয় অবগত করেন ওই ভুক্তভোগী সাংবাদিক। ওই প্রধান শিক্ষকের বাড়ি সীমান্তবর্তী ছাটকড়াইবাড়ী গ্রামে। তিনি দাঁতভাঙ্গা দ্বি-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দাঁতভাঙ্গা দ্বি-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ওই সাংবাদিককে কোন ধরনের হুমিক দেয়নি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, আমির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, মাহবুর রহমানসহ অনেকেই জানান, স্কুল ঘরের টিন চুরির বিষয় প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে জানাগেছে।
রৌমারী থানার (ওসি) আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, ‘জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক সাখাওয়াত থানায় জিডি করেছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
শুক্রবার (৫ জুন) স্কুল ঘরের চুরির হওয়ার টিনের ছবি তুলতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের হাতে লাঞ্ছিত সাংবাদিকরা থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাতের আধাঁরে দাঁতভাঙ্গা দ্বি-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ৫০ হাত ঘরের টিন চুরি হওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button